শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের কাছে চেক হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী

700

Published on ফেব্রুয়ারি 25, 2014
  • Details Image


তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি) এর মাধ্যমে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি পরিবারকে ৪ দশমিক ৮০ লাখ টাকা করে (চলতি বছরের) ষষ্ঠ বছরের জন্য প্রদান করেন। আজ সকালে তার কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এ চেক হস্তান্তর করেন।
২০০৯ সালে বিডিআর পিলখানায় গণহত্যার পর প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক অনুরোধে সারা দিয়ে দেশের ২৬ ব্যাংক শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসে। আর্থিক এ সহায়তা ১০ বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল আর্থিক সহায়তার প্রথম চেক বিতরণ করেন।
সেই অনুযায়ী, বিএবি ২০০৯ , ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সাল নিয়ে ৫ বছরে ইতোমধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের ১৪ কোটি টাকা প্রদান করেছে।
চেক হস্তান্তরের পর শহীদ সেনা অফিসারদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপ সামরিক সচিব কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, বিএবি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার, বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ এবং উচ্চ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পিলখানার এ বিয়োগান্তক ঘটনার পর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টা, ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও নির্দেশে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, সেনা কল্যাণ তহবিল ও বিজিবি কল্যাণ তহবিলে তাৎক্ষণিকভাবেই প্রচুর আর্থিক সহায়তা আসতে থাকে।
শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকার আর্মি অফিসার্স আবাসিক এলাকায় আবাসন ব্যবস্থার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
এ ধারাবাহিকতায় ১৫ শহীদ অফিসারের বাড়ি তৈরির ঋণ সুদ মওকুফ করা হয়, এছাড়া ২৫ শহীদ কর্মকর্তার ট্রাস্ট ব্যাংকের ২০০৯ সালের ঋণ সুদও অব্যাহতি দেয়া হয়।
সরকার শহীদ পরিবারের ৩৩ সদস্যকে চাকরি প্রদান করেছে। এর মধ্যে তিনজন বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কাজ করছেন।
সরকার শহীদ সেনা পরিবারের ৮৯ শিশু সদস্যকে ১০টি ক্যাডেট কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যতসামান্য বা বিনা খরচে পড়াশুনার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
মিরপুর ডিওএইচএস’এ ৩৭ শহীদ কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের জন্য প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই স্থানে ১০ নিহত অফিসারের প্রত্যেকের জন্য সু-সজ্জিত দুই ইউনিটের ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এই বিয়োগান্তক ঘটনার আগে ডিওএইচএস ও রাজউকে শহীদ ১১ অফিসারকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
৪২ শহীদ কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সেনানিবাসের ভিতরে থাকার জন্য সাময়িকভাবে আবাসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের সশস্ত্র বাহিনীর সেবা নিয়ম অনুযায়ী, কল্যাণ তহবিল, পারিবারিক নিরাপত্তা প্রকল্প, ডিওএইচএস ফান্ড ও পেনশন ফান্ড থেকে নিয়মিত মাসিক অনুদান দেয়া হচ্ছে।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের রক্ষণাবেক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম ওই বিয়োগান্তক ঘটনার পর থেকে চালু করা হয়েছে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত