1149
Published on ফেব্রুয়ারি 22, 2014
রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের জন্য এটি অনেক গর্বের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলা আমাদের মাতৃভাষা হওয়ায় আমরা গর্বিত। আর এটাও আমাদের জন্য গৌরবের যে, মাতৃভাষার জন্য আমাদের মহান আত্মত্যাগ পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিচ্ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলাভাষাকে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নিয়ে যান। সে পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি নিজেও যতবারই জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছেন বাংলাতেই দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলনের সাথে সাথে বাঙ্গালী জাতি হিসেবে অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন। ’৫২ সাল পর্যন্ত বন্দি থাকলেও বিভিন্নভাবে তিনি আন্দোলনকারীদের দিক নির্দেশনাসহ বিভিন্ন কৌশল ঠিক করে দিতেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষার আন্দোলন শুরু করেছিলেন জাতির পিতা আর ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ বিশ্ব থেকে ভাষার জন্য আত্মত্যাগের স্বীকৃতি নিয়ে আসে। এ জাতি যখন যা কিছু পেয়েছে আওয়ামী লীগের আমলেই পেয়েছে। আওয়ামী লীগ যে, জাতিকে কিছু দেয় তা আজ প্রমাণিত।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাষার স্বীকৃতি পেয়ে বসে থাকিনি এ লক্ষ্যে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, প্রতিষ্ঠানটি সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠবে।
শেখ হাসিনা বলেন, উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কে হারবে, কে জিতবে বড় কথা নয় তবে আমার প্রশ্ন বিএনপির নেত্রীর কাছে কেন এ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে নির্বাচন বর্জন করলেন?
পোড়া যন্ত্রনা নিয়ে এখনও অনেকে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলন নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি মারা। এর কি জবাব দেবেন খালেদা জিয়া সে প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
তাদের ধ্বংসযজ্ঞে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে এসবের ক্ষতিপুরণ দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে উপজেলা পদ্ধতি বিশ্বাস করে না বিএনপি। সে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলেন। মানুষের ক্ষতি করে দিয়ে তিনি আবার ফেরত চলে আসলেন, এরপর আর আন্দোলনের কথা যেন উনি না বলেন।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিএনপি বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা কথা বলে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে চেয়েছে। বিদেশী পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করেছে। মিথ্যা বলে বলে অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছে।
রক্ত দিয়ে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতা অর্জনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘২০২১ সালের আগে অবশ্যই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবো।’
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ঢাবি উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
সুত্রঃ বাসস