1291
Published on ফেব্রুয়ারি 11, 2014
এ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি দৃঢ় আশাবাদী যে, বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে কাজ করলে বিমান একটি লাভজনক সংস্থায় পরিণত হওয়ার পাশাপাশি জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর জাতীয় বিমান সংস্থার প্রয়োজনীতা অনুভব করেন। সেসময় তাঁর (বঙ্গবন্ধু) নির্দেশে ১৯৭২ সালে ডিসি-৩ বিমান নিয়ে জাতীয় এয়ারলাইন্সের যাত্রা শুরু হয়।
বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উদ্বোধনের সাথেই কিংবদন্তির ডগলাস ডিসি-১০ বিমানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আগামী ২০ফেব্রুয়ারি ডিসি-১০’র শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে কুয়েত হয়ে বার্মিংহাম পৌঁছাবে। এর মাধ্যমে কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বে বর্তমনে সচল একমাত্র ডিসি-১০ বিমানের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর ডিসি-১০ যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানীর জাদুঘরে দর্শনীয় বস্তু হিসেবে স্থান করে নেবে।
অন্যান্যের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি, বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল সচিব খুরশিদ আলম চৌধুরী, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা, বোয়িং কোম্পানীর পরিচালক (ইন্টারন্যাশনাল সেলস) সবিতা গৌদা ও বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন স্টীল অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে এভিয়েশন শিল্প দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিমানও বৈশ্বিক পরিসরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এগিয়ে চলছে।
হজ্বের সময় বিমানের কার্যক্রমের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের আন্তরিকতায় প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় হজ্বযাত্রী পরিবহন সম্ভব হচ্ছে।
দেশব্যাপী রেল যোগাযোগ উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিমান যাত্রীরা যাতে ট্রেনে চড়ে বিমান বন্দরে আসতে পারেন সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে যাত্রীদের সরাসরি হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর পর্যন্ত আসার সুবিধার্থে একটি আন্ডারপাস নির্মাণের বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী মাসে চতুর্থ বোয়িং বিমান বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হবে এবং পরের বছর আরো একটি আসবে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য দু’টি ছোট বিমান কেনা হবে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ সব রুট সচল করা হবে।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিমান পরিবহনের জন্য সকল অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের পাশাপাশি বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোরও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
পরে প্রধানমন্ত্রী কেক কেটে নতুন সংযোজিত বোয়িং ‘আকাশ প্রদীপে’র উদ্বোধন করেন।
সুত্রঃ বাসস