682
Published on ফেব্রুয়ারি 5, 2014
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে জাতিসংঘ ঘোষিত পারিবারিক কৃষি বছর ২০১৪-এর একটি মডেল সৃষ্টি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে পারিবারিক উৎপাদন বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ পারিবারিক আয় নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়াও এ কর্মসূচিকে স্থায়ীরূপ দিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাংক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হিসাবে সম্পূর্ণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র সঞ্চয় জমা রাখার একটি ব্যাংক হবে যা তাদের সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক গরিব লোককে একশ’ টাকা সঞ্চয়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একশ’ টাকা দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অধীনে গত তিন বছরে দেশের প্রতিটি উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে সকল ওয়ার্ডে একটি করে ৩৬টি গ্রাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এতে দেশের মোট ১০ লাখ ৩৮ হাজার দরিদ্র পরিবার সরাসরি উপকৃত হচ্ছে এবং তাদের পরিবার প্রতি বার্ষিক আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ হাজার ৯২১ টাকা। প্রতিটি গ্রামে তাদের নিজস্ব তহবিল গড়ে উঠেছে ৯-১০ লাখ টাকা।
এ প্রকল্পের সফলতা শতভাগ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ১০ লাখ ৩৮ হাজার পরিবারের নিজস্ব মূলধন গড়ে উঠেছে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এ টাকায় তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৪৪৮ কোটি টাকা তারা ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে। অন্যদিকে সরকার দিয়েছে তার দ্বিগুণ অর্থাৎ ৮৯৬ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সকল সুদখোর ও দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের কৃষি ভিত্তিক জীবিকায়ন নিশ্চিত করা।
উপজেলায় আরো অধিক সংখ্যক ইউনিয়নে এ প্রকল্পের কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, এ জন্য গতবছরের জুলাইতে এ প্রকল্পের কার্যক্রম দেশের সকল উপজেলায় সকল ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে অর্থাৎ ৪০ হাজার ৫২৭টি ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৪০ হাজার ৫২৭টি গ্রামে সম্প্রসারণের জন্য ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকার সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৪০ হাজার গ্রামে দরিদ্র পরিবার বাছাই করে সমিতি গঠনের কাজ সমাপ্তির পথে। এবার উপকৃত পরিবারের সদস্য সংখ্যা হবে ২৫ লাখ অর্থাৎ ১ কোটি ২০ লাখ দরিদ্র জনগণকে এ বছরই একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় দারিদ্র্য মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
সরকারি দলের আবদুস শহীদের ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ সম্পর্কিত অপর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের জন্য উৎসাহিত করছি। প্রতিনিয়ত তাদের সঞ্চয় বাড়ছে। সরকার দ্বিগুণ টাকা দিচ্ছে। এই সঞ্চয়ের মধ্যদিয়ে গ্রামের মানুষ দরিদ্র থেকে মুক্তি পাবে।