534
Published on ফেব্রুয়ারি 4, 2014বামদলগুলোর আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা যাতে শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবির কর্মীরা যখন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রগ কাটে ও হত্যা করে তখন মানবাধিকার কর্মীরা কোন কথা বলে না এবং সংবাদপত্রেও এ খবরগুলো আসে না।
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে শেখ ফজলুল করিম সেলিমের পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেই না। নিজ দলের হোক আর অন্য দলের হোক সন্ত্রাসী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আমরা অতীতেও ব্যবস্থা নিয়েছি, এখনো নেব। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছি। কাউকে ছাড় দেইনি। প্রধানমন্ত্রী দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচারের রায়ের উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার হয়েছে। আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে ১৪ জনকে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে হাওয়া ভবনের জড়িত থাকার বিষয়টি এমনকি সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত থাকলে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের মাটি কোন সন্ত্রাসীদেরকে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল, এখন এটি একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। প্রতিবেশি রাষ্ট্রে বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন আন্দোলনে এ দেশ ব্যবহার হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট তাঁর উপর গ্রেনেড হামলা হয়েছে। সেই হামলার বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। সে ঘটনায় স্প্লিন্টারবিদ্ধ অনেক নেতা এই সংসদে আছেন। এক এক করে সকল ঘটনার বিচার হবে।
প্রধানমন্ত্রী পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরপর পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। এ ঘটনার বিচার হয়েছে। অভিযুক্তরা সাজা পেয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিরোধী নেত্রীর ভূমিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে দিন তিনি কোন সরকারি প্রটোকল ছাড়াই সকাল সাড়ে ৭টায় কোথায় গিয়েছিলেন। এ ঘটনারও তদন্ত করা হবে।