মন্ত্রিসভায় মেরিটাইম লেবার কনভেনশন ২০০৬ গৃহীত

581

Published on জানুয়ারি 27, 2014
  • Details Image


বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ১২ হাজার নাবিক দেশী ও বিদেশী জাহাজে চাকুরী করছে। এ দেশের ৬৮টি সমুদ্রগামী জাহাজ রয়েছে এবং এ খাত থেকে বার্ষিক ৫শ’ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের নাবিকরা বিদেশী জাহাজে যোগদান, বিদেশে অবস্থান এবং উপকূল ত্যাগের সমস্যাসহ বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া বিদেশী বড় বড় শিপিং এজেন্টরা বাংলাদেশী নাবিক নিয়োগে প্রায়ই অনিহা প্রকাশ করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারী পর্যন্ত আইএলও’ভুক্ত ৫৬টি দেশ মেরিটাইম লেবার কনভেনশন-২০০৬ অনুসমর্থন করেছে। তিনি বলেন, এই কনভেনশনের সংগে নাবিকদের জন্য উপযোগী পরিবেশ, বাসস্থান, কর্মঘন্টা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি সম্পৃক্ত। সংশ্লিষ্ট নাবিক এবং পোর্ট স্টেট ও ফ্লাগ কান্ট্রির জন্য এই কনভেনশন প্রযোজ্য।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, নাবিকদের আইডেনটিটি ডকুমেন্টস (এসআইডি) বায়োমেট্রিক ফিচারসের মাধ্যমে নাবিকদের প্রয়োজনীয় তথ্য থাকবে। এতে থাকবে আঙ্গুলের ছাপ, বার কোড, ছবি ও মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট। কোন নাবিকের এই আইডেনটিটি ডকুমেন্ট থাকলে তার জন্য উপকূল ত্যাগ, অন্য জাহাজে চাকুরী গ্রহণ এবং নিজ দেশে ফিরে আসা সহজ হবে। এ পর্যন্ত আইএলওভুক্ত ২৪টি দেশ এই এসডিআই অনুসমর্থন করেছে।
ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যমান শ্রম আইনের সঙ্গে এই কনভেনশন সাংঘর্ষিক হবে না। কারণ পররাষ্ট্র ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এগুলো পরীক্ষা করেছে। এছাড়া শ্রম খাতের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক পরিষদ এসআইডি অনুমোদনের সুপারিশ করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব এই উভয় কনভেনশনকে বাংলাদেশী নাবিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে একটি শুভ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হবে।
বৈঠকে মন্ত্রিসভাকে গত বছর ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর কলম্বোয় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণের বিষয় অবহিত করা হয়।
মন্ত্রি, সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রি এবং সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ বাসস

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত