606
Published on জানুয়ারি 19, 2014
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে এখানে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সভায় সূচনা বক্তৃতা করছিলেন। সংসদ উপ-নেতা ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমীর হোসেন আমু ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের, ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করার জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এসব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আমরা সফলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে এবং গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি।’ এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা সকল বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচনে ভোট প্রদান করায় নারী সমাজের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ নির্বচনে অনেক নারী প্রার্থীও নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মাত্র ৩৬ টি আসনের জন্য সারা দেশের নারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর ফলে দেশে নারীদের উত্থান ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের নারী সমাজের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখার বিধান সন্নিবেশিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার সরকার নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী, সংসদ উপ-নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা ও স্পিকার হিসেবে নারীদের নির্বাচিত করে বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের মেয়াদে ১৯৯৬-২০০১ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মোট ৪৫,০০০ নারী অংশ গ্রহন করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে ১২,০০০ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, ‘পরে, আমরা বিভিন্ন সংস্থায় ও প্রকল্পে নারীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশ গ্রহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নারীদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, তার সরকার বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারী ভাতা, দুধদানরত মায়ের ভাতা, গর্ভবতী মায়ের ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র ও অসচ্ছল নারীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ১৯৯৬-২০০১ সালে মেয়াদে প্রথমবার সচিব, উপ-কমিশনার, পুলিশ সুপার, বিচারক ও প্রো-ভিসি পদে নারীদের নিয়োগ প্রদান করে। তিনি বলেন, ‘এর আগে কোথাও নারীদের জন্য কোন স্থান ছিল না।’
সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোট ৮২২ জন নারী নেত্রী সভায় উপস্থিত ছিলেন।