548
Published on জানুয়ারি 7, 2014
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ২০০১ সালের মতোই এখন সংখ্যালঘুদের ওপর চড়াও হয়েছে। এখন তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হামলা চালাতে শুরু করেছে।’
পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচন জোটের বিজয় জয়লাভে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য ১৪-দলীয় নেতৃবৃন্দ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সমবেত হলে তিনি একথা বলেন। ১৪-দলীয় নেতৃবৃন্দ এসময় প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বয়কটের অধিকার বিরোধীদলীয় নেতার রয়েছে। কিন্তু তিনি কেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য সংখ্যালঘু লোকদের সঙ্গে শত্রুতা দেখাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে অবশ্যই এই হামলা বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় আমরা তা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করার জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে এবং যৌথবাহিনী এসব সমস্যাপূর্ণ এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। সকল ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। ‘সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা, তাদের সব ধরনের নিরাপত্তা দেয়া এবং তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে যাতে তারা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারে ।
পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এমনকি উন্নত অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও এমনটি দেখা যায়নি।
‘আমি আশা করছি যে বিএনপি নেতার চেতনা ফিরে আসবে এবং জনগণকে এ দুর্ভোগ থেকে রেহাই দেবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দরজা সব সময় খোলা এবং সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে বিএনপি যে কোন সময় সংলাপে আসতে পারে।’
শেখ হাসিনা নির্বাচন অনুষ্ঠান ও দেশের কষ্টার্জিত গণতন্ত্র বজায় রাখতে সহায়তা দেয়ার জন্য ১৪-দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
নির্বাচনের পরও হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি দেয়ার জন্য বেগম জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সকল অশুভ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। ভবিষ্যতেও তিনি আমাদের কোন কাজ বাধাগ্রস্ত করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সরকার সব শিশুকে শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করার জন্য চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীরা হরতালের কারণে তাদের নতুন বছরের ক্লাস শুরু করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ’ এবং ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে তারা যথাসময়ে সকল পরীক্ষায় উপস্থিত হতে এবং পরীক্ষা শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে।