739
Published on ডিসেম্বর 30, 2013
তিনি আজ গণভবনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ অনুরোধ জানান।
নির্বাচনকালীন সরকারের শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই ফলাফল তুলে দেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণী ও মাদ্রাসার এবতেদায়ী চূড়ান্ত পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৪৮ ছাত্রীসহ মোট ২৯ লাখ ৬১ হাজার ২৭৭ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৪ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। এতে প্রাথমিকের ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ এবং এবতেদায়ীর ৭ হাজার ২৫৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
প্রাথমিকে পাসের হার ৯৮.৫৮ এবং এবতেদায়ী ৯৫.৮০।
চলতি ২০১৩ সালের এই সমাপনী পরীক্ষা ২০ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৮ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচির কারণে কয়েকবার পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের ফলে তা শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর।
প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা অনুষ্ঠান ও ফল প্রকাশ সম্পন্নে কঠোর পরিশ্রম ও বিভিন্ন বিপত্তি মোকাবেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি সমৃদ্ধ হতে পারে না, এজন্য সরকার শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর সরকার শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়িয়েছে এবং স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনামূলো বই দিচ্ছে। গরীব শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য বিপুল সংখ্যায় বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়া রোধে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এক কক্ষের স্কুলকে দুই বা আরো অধিক কক্ষে উন্নীত করা হয়েছে। পল্লী এলাকা বিশেষ করে পাহাড়ী অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে স্কুলে যেতে পারে সে ব্যাপারেও নজর দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার আবারো নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে প্রাথমিক স্তরে কম্পিউটার ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা বাধ্যতমূলক করা হবে।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।