541
Published on ডিসেম্বর 21, 2013
শেখ হাসিনা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য ঘোষিত দল জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সংশ্রব ত্যাগ করলে এবং ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য বিএনপি এগিয়ে এলে তার সরকার পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ১০ম সংসদ ভেঙ্গে দিতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাল্লাহ।’
যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করায় পাকিস্তানের পার্লামেন্টের প্রস্তাব সম্পর্কে ‘কোন মন্তব্য’ না করায় বিরোধী দলীয় নেতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার হটানোর কোন আন্দোলনে যাওয়ার আগে তার (বেগম জিয়া) উচিত ছিল এই বিষয়ে জবাব দেয়া। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাইকোর্ট নির্বাচনে অংশ গ্রহনের বিষয় জামায়াতের যোগ্যতা বাতিল করেছে।’ তিনি আরো বলেন, জামায়াত ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। এমনকি, বিএনপি জামাতী গুন্ডাদের সমর্থন ছাড়া জনগণের সামনে আসতেও ভয় পায়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বৃহৎ শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সহানভূতি জানিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণ ছাড়া অন্য কারো পরোয়া করি না। আমি যে কোন কিছু করার জন্য এবং জনগণের স্বার্থে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে সবসময় প্রস্তুত। আমি আমার বাবা-মাকে হারিয়েছি। আমার হারানোর বা পাওয়ার কিছু নেই।’
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান ও সামাজিক কল্যাণ খাতে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঈর্ষণীয় অগ্রগতি লাভ করেছে। তিনি বলেন, টিআইবি’র রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে দুর্নীতির মাত্রা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে এবং প্রায় পাঁচ কোটি লোক নিম্ন আয়ের পর্যায় থেকে মধ্য আয়ের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের প্রতিটি নাগরিকের খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, গৃহায়ন ও শিক্ষার অধিকারসহ মৌলিক অধিকার পূরণ করার জন্যই আমাদের রাজনীতি।
এই সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আলোচনায় অংশ নেন।
সভার শুরুতে দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন শুক্রবার ইন্তেকাল করায় তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।