941
Published on ডিসেম্বর 20, 2013
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছান বিকাল ৫টা ১২ মিনিটে।
জাতীয় পতাকায় জড়ানো কফিনে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এবং পরে দলীয় প্রধান হিসাবে ফুল দেন শেখ হাসিনা। সেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এইচ টি ইমামসহ দলের শীর্ষ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কোমরের হাড় ভেঙ্গে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন। তিনি দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে গত ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় এনে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার অবস্থার অবনতি হয়।
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি আজ এক বিবৃতিতে বলেন, মরহুমা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠেন। সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে এক অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন ও বিকাশে তার ভূমিকা অপরিসীম বলে বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার মৃত্যুতে একজন ত্যাগী, দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান সংগঠককে হারিয়েছে। অপরদিকে দেশ ও জাতি একজন দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্বকে হারালো।
জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ মো. আবদুস শহীদ জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুতে দেশ একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদ ও সময়ের সাহসী যোদ্ধাকে হারালো।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ সভাপতি এবং তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, জোহরা তাজউদ্দিন মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ বহু সংকটকালীন আন্দোলনের অগ্র সৈনিক ছিলেন।
মন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার-স্বজন গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১২টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে মরহুমাকে দেখতে যান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তাজউদ্দিন দম্পতির একমাত্র পুত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর আগামী রোববার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ আওয়ামী সমবায় লীগ, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চ ও বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।