532
Published on ডিসেম্বর 3, 2013
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা শ্রমিকদের উন্নত জীবন ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামুলক বাজারে পোশাক খাতকে টিকিয়ে রেখে এই খাতের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি তখন অশুভ শক্তি এই গুরুত্বপুর্ণ খাতের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মালিককে তার কারখানা পুনরায় চালু করার জন্য সর্বপ্রকার সাহায্য করা হবে এবং দোষীব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। ভবিষ্যতে যাতে অন্যকেউ এধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করতে না পারে এমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী পোশাক শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার গরীবের ভাগ্য ফেরাতে আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে। শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করতে, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন ‘চার বছরে শ্রমিকদের বেতন তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে যেটা বাংলাদেশে ব্যতিক্রম’।
তিনি বলেন তাঁর সরকার শ্রমিকদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। রানা প্লাজা, তাজরিন এপারেলস এবং অন্যান্য কারখানার প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে যথাসাধ্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পোশাক খাতের মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রন ও পর্যবেক্ষন পদ্ধতি তৈরীর জন্য আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, তৈরী পোশাক খাতের চালান অব্যাহত রাখতে সরকার সব ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহমেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন বাবলু, একেএম মোজাম্মেল হক এবং স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।