527
Published on নভেম্বর 14, 2013প্রধানমন্ত্রী সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোন গণতান্ত্রিক দেশে কোন এডহক ভিত্তিক সরকার নেই। শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন সম্পর্কে বলেন, সরকার সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে সংবিধান সংশোধন করেছে। এখানে সংবিধান লংঘন করে কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য নির্বাচন করতে চাই। তিনি বলেন, একমাত্র বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া স্বাধীনতার পর কোন সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশকে সামরিক আইনমুক্ত অথবা সামরিক সমর্থিত সরকার ব্যবস্থা মুক্ত রাখতে সংবিধান সংশোধন করেছে। শেখ হাসিনা ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, ১১ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, সামরিক সরকার এবং স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, তারা সামনে থেকে ওই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং অনেকে জীবন উৎসর্গ ও পঙ্গুত্ব বরণ এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শিক্ষা খাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি শিক্ষিত জাতি গঠনের লক্ষ্যে একটি সময়োপযোগী প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ৬টি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেন সেগুলো হচ্ছে- বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের এমআরএ ভবন (ইস্টার্ন উইং), ছাত্রদের জন্য বিজয় একাত্তর হল, তরুণ শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য সৈয়দ আবুল খায়ের ভবন, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য শহীদ মুনির চৌধুরী ভবন, হল প্রভোস্টদের জন্য শহীদ এম এ মোকতাদির ভবন (প্রভোস্ট কমপ্লেক্স) এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু টাওয়ার।