বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশকে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সাথে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

566

Published on অক্টোবর 29, 2013
  • Details Image


প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে কাওরান বাজারে বাপেক্স ভবন উদ্বোধন এবং শের-ই-বাংলা নগরে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এ কথা বলেন। তেল, গ্যাস উত্তোলন ও উৎপাদনে নিজেদের সামর্থ্য অর্জনে বাপেক্সকে আরো শক্তিশালী করা ও সংস্থার জনশক্তিকে প্রশিক্ষিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাসহ এর জনশক্তিকে বিদেশী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে, যেন তারা কাজের মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং নিজেদের দক্ষ করে তুলতে পারে।
বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে জনগণের সহযোগিতা কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার আকাশের সূর্য ও মৃত্তিকা সম্পদ কাজে লাগিয়ে সব খাতে দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে চায়। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হচ্ছে দেশ ও জনগণকে আলোকিত করা। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে আর একবার জাতির সেবার সুযোগ দেয়া হলে আমরা প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়ে দেশ ও জনগণকে আলোকিত করবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকার গ্যাসের সর্বোচ্চ ব্যবহারে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে ২০০১ সালে গ্যাস রফতানির জন্য মুচলেকা দিতে তাঁর সরকার রাজি হয়নি। তাঁর সরকার কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাপেক্সকে শক্তিশালী করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সংস্থাটি এখন ত্রিমাত্রিক জরিপ এবং নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাপেক্সের জন্য তিনটি নতুন রিগ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার ফলে এটি এখন একটি আন্তর্জাতিক মানের সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৯ হাজার ৭১৩ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। মোট ৪ হাজার ৪৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এবং ৬ হাজার ৪১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ৩২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশ শিগগিরই ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাইলফলক স্পর্শ করবে।
২০০৯ সালের ৮ মার্চ বাপেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শুরু এবং ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর তা সম্পন্ন হয়। বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়নে ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮ কাঠা জমির উপর ১৬ তলা এই ভবন নির্মাণ করা হয়।
শেরে বাংলা নগরের আগারগাঁয়ে ১০৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই বিঘা জমির উপর জিটিসিএল’র ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। জিটিসিএল নিজস্ব অর্থায়নে এই ভবন নির্মান করছে। ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত