বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র নেতা, যিনি একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। আর সেই রাষ্ট্রটি হলো আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের শোষণ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের দিকে এই স্বপ্নের যাত্রা অতো সহজ ছিল না। বুলেট-বোমা উপেক্ষা করে বাঙালি জাতিকে সঙ্গে নিয়ে সেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এর আগে আরো অনেক নেতাই এই স্বপ্ন দেখেছে...
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে মহাকাব্যিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তার মূল কথা ছিল মুক্তি। এই মুক্তি শব্দটির ব্যঞ্জনা ছিল বহুমাত্রিক। রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছিল এই শব্দে। আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন বলতে গণমানুষের জীবনমানের উন্নতিকেই বেশি করে বুঝে থাকি। তিনি যে রাষ্ট্রচিন্তা করতেন, তার মূলে ছিল সাধারণ মানুষ ...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালে, রাজনীতিতে তার সংশ্লিষ্টতা ১৯৩৯-এ। তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়ে আমরা জানতে পারি, ১৯৩৬ সালে তিনি স্বদেশী আন্দোলনের প্রতি অনুরক্ত হন। তার ভাষায়— 'তখন স্বদেশী আন্দোলনের যুগ। মাদারীপুরের পূর্ণ দাস তখন ইংরেজের আতঙ্ক। স্বদেশী আন্দোলন তখন মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের ঘরে ঘরে।' এই পূর্ণচন্দ্র দাস ছিলেন বাঘা যতীনের সহক...
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বব্যাপী একজন মুক্তিসংগ্রামী এবং মহান রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি রাজনীতির মানুষ, রাজনীতিই তার জীবনের ধ্যান-জ্ঞান। তিনিই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ জাতীয়তাবাদী নেতা। রাজনৈতিক সত্তাই বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় পরিচয়। তবে শুধু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তিই নয়; বাংলাদেশের ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মুক্...
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার নদী-ছায়াঘেরা একটি প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নিয়েও করেছিলেন বিশ্বজয়। ১৯৪৭ সালের পর থেকে আমৃত্যু বাঙালি জাতির প্রধান আকর্ষণ ছিলেন তিনি। তাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে বাঙালি জাতির মুক্তির ইতিহাস। তরুণ শেখ মুজিব মুজিবুর রহমান ক্রমেই যেভাবে বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা এবং স্বাধীনতার স্থপতি হয়ে উঠেছেন, তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তার যোগাযোগ কৌশ...