খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে সবুজের হাতছানি

4226

Published on মে 29, 2018
  • Details Image

ড. শামসুল আলমঃ

পদ্মার শাখা বড়াল নদ রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় উত্পন্ন হয়ে নাটোরের চলনবিল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সিরাজগঞ্জের হূরাসাগরে পড়েছে। এ নদীর মোট দৈর্ঘ্য ১৪২ কিমি যার মধ্যে নাটোর অংশে রয়েছে ৭১ কিমি। বড়াল নদ ব্যবস্থাপনার কাজটি শুরু হয় ১৯৮২-৮৩ সালে দুটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ রেগুলেটরের মাধ্যমে। পরে ১৯৯৪-৯৫ ও ২০০২-০৩ সময়ে বাপাউবো কর্তৃক ‘বড়াল বেসিন উন্নয়ন প্রকল্প’-এর মাধ্যমে চারঘাট হতে আটঘরিয়া পর্যন্ত ৪৬ কিমি অংশে শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য রেগুলেটর স্থাপন করা হয়। একসময়ের প্রমত্ত বড়াল নদ মরে যাওয়ার কারণ হলো, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ না করা, প্রতিবছর জমাকৃত পলি সরানো/ড্রেজিং এর ব্যবস্থা না করা, স্থানীয় জনগণ কর্তৃক অবৈধভাবে নদী দখল, নদী ভরাটের মাধ্যমে আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি এবং ময়লা আবর্জনা পলিথিন নদীতে ফেলা এবং একইসাথে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নদীতে উন্মুক্ত করে দেওয়া। বড়াল নদ পুনরুদ্ধারের দাবি রয়েছে জনগণের।

গোদাগাড়ী, রাজশাহীতে পদ্মা নদীর সরমংলা খাড়িতে ভূ-গর্ভস্থ পাইপলাইন দ্বারা পানি সঞ্চালন করা হচ্ছে। এ সঞ্চালন পাইপ লাইন ২৯ কিমি দীর্ঘ সরবরাহ পাইপের মাধ্যমে ৫,১৫,০০০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এনেছে। এ পর্যন্ত রাজস্ব আয় ১৬০-১৮০ কোটি টাকা এবং প্রতি একর জমি সেচের জন্য খরচ ২,৫০০ টাকা। পানির পরিমাণ এবং বিল নির্ধারণে প্রিপেইড মিটার কার্ড ব্যবহূত হয়। তাই বিল আদায়ে সমস্যা নেই। এছাড়া মাটির নীচে পাইপ ব্যবহূত হওয়ার কারণে পানির অপচয় নেই, রোদে পানি উবে যায় না। গোদাগাড়ী ও নাচোল উপজেলাতে এখন তাই সবুজের সমারোহ। এক্ষেত্রে পদ্মা নদীর ৯টি পয়েন্ট হতে পন্টুনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে সেচ প্রদান করা হয়। তবু কিছু কিছু এলাকায় গভীর নলকূপে সেচ ব্যবস্থা চালু রয়েছে— যার ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমশ নীচে নেমে যাচ্ছে।

চাপাইনবাবগঞ্জের নাচোল অঞ্চলের মানুষ ১৫-২০ বছর আগেও পুকুরের পানিই খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করত। বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ১৯৮৫-৮৬ সাল হতেই এ অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ নলকূপ ব্যবহার করে পানি উত্তোলনের মাধ্যমে পানি সরবরাহের কাজটি শুরু করেছে। গ্রামে বর্তমানে এ এলাকার প্রায় প্রতি ঘরেই পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়। মাথাপিছু প্রত্যেক চাষি পাঁচ টাকা হারে পানির বিল দিয়ে থাকে। এ অঞ্চলে ২৫ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওভারহেড ট্যাংক তৈরি করা হয়েছে যেখানে গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ প্রায় ৮০ ফুট নিচ হতে পানি উত্তোলন করে সংরক্ষণ করা হয়। গভীর নলকূপের দ্বারা এলাকার মোট ২৩ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ৭ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বছর দশেক পূর্বেও ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ছিল ৩৫-৪০ ফুট নীচে। গভীর নলকূপ ব্যবহারের ফলে পানির স্তর প্রতি বছর নীচে নামছে। এটিই হল ভয়ঙ্কর দিক। এখন সেচ-সুবিধা প্রাপ্তির ফলে বছরে তিন মৌসুমে তিন রকমের ফসল করা সম্ভব হয়েছে। এখানে রবি মৌসুমে মসুর, মটর, সরিষা জাতীয় ডাল, বোরো মৌসুমে বোরো ধান এবং আমন মৌসুমে আমন ধান হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ভুট্টা, গম, কালাই, ইত্যাদিও চাষ হয়ে থাকে। ফসলের পাশাপাশি এ অঞ্চলে ফল চাষে বিপ্লব ঘটেছে। আমের পাশাপাশি এখন পেয়ারা ও মাল্টার চাষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

যে সমস্যাগুলো জানা গেছে তা হলো, কৃষকগণ বলেছেন বিএডিসি কর্তৃক সরবরাহকৃত বীজের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। এলাকার চাষীদের সেচ/পানি বেশি লাগে এমন ফসল (যেমন— বোরো) হতে অন্য ফসলে আগ্রহী করে তোলার জন্য সমপ্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে। উন্নতমানের বীজ প্রাপ্তি এবং বীজ সংরক্ষণের প্রশিক্ষণ প্রদান আবশ্যক। ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পুকুর পুনঃখনন ও নতুন পুকুর খনন উত্সাহিত করা প্রয়োজন এবং সেই সঙ্গে বর্ষার বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও পুকুর জলাশয়ে ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

নাচোল এলাকার ‘বরেন্দ্র এলাকায় খালে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সম্পন্নকরণ’ প্রকল্পের কার্যকারিতা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মহানন্দা নদী হতে পূর্ব বন্দনা খাল পর্যন্ত পানি আনার জন্য ৭ কিমি দীর্ঘ ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এরই আওতায় মহানন্দা নদীতে পন্টুন নির্মাণ ও স্থাপন করা হয়েছে। সেচের জন্য ৬ কিমি খাল পুনঃখনন ও সংস্কার করা হয়েছে। সৌরশক্তি প্যানেল ব্যবহার করে ১৪টি লো-লিফট পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানির দ্বারা ৫,২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। সৌরশক্তির এই ব্যবহার উত্সাহজনক।

নওগা’র বরেন্দ্র অঞ্চলে বিএমডিএ ছোট-বড় অনেক পুকুর পুনঃখনন করে দিয়েছে— যা পানি সংক্ষণাগার হিসেবে কাজ করছে। বিএমডিএ এর বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এ অঞ্চলে কৃষি উত্পাদনের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল। তবে এ এলাকার মানুষ এখনো পাতকুয়ার পানিও পান করে। কাজেই খাবার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হওয়া দরকার। এপ্রিল-মে মাসে পাতকুয়ায় পানি না থাকায় খাওয়ার পানির অপ্রতুলতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানির স্বল্পতা এ অঞ্চলে এখনো রয়েছে। পুনঃখনন/সংস্কারকৃত পুকুর/দিঘীগুলি সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় গভীরতায় পুনঃখনন এবং খননকৃত মাটি নিরাপদ দূরত্বে ফেলা এবং এর ব্যবস্থাপনায় গ্রামবাসীদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।

বিলকুমারী বিল ও তানোর পরিস্থিতি

তানোর উপজেলায় অবস্থিত ১৫৭ হেক্টর বিলকুমারী বিল শিবু নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। এ বিলটি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে এর জীব-বৈচিত্র্য। একইসাথে এ বিলের মত্স্য সম্পদও হুমকির সম্মুখীন। বিলকুমারী বিলের আশু খনন প্রয়োজন। এর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা গেলে তা জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক জলাধার এবং মত্স্য সম্পদ উত্পাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্স হতে পারে। একইসাথে স্থায়ীভাবে পর্যটন সুবিধা এ বিলে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে— যা ব্যক্তি-উদ্যোক্তারা বিবেচনায় নিতে পারেন। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র চেয়ারম্যান ড. মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী (সাবেক এমপি)-এর সভাপতিত্বে এক সেমিনার বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বরেন্দ্র অঞ্চলে সামগ্রিকভাবে কৃষি, মত্স্য, পশুসম্পদ উন্নয়ন, ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য শক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বারনই নদীতে রাবার ড্যামের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রাজশাহী জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বারনই নদী ৫৩ কি.মি. দীর্ঘ। এর উত্পত্তিস্থল মান্দা উপজেলার আত্রাই নদী এবং পতিত মুখ একই নদীর নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা অংশে। নদীতে অধিক পরিমাণ পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ এলাকা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ নদীর জগদীশপুর নামক স্থানে ৬২ মিটার দৈর্ঘ্যের রাবার ড্যাম বিএমডিএ কর্তৃক নির্মিত হয়। রাবার ড্যামটির উচ্চতা ৪.৫ মিটার যার মধ্যে উজানে ৪০ কি.মি. অংশে পানি ধরে রেখে নদীর দুই পাশে ১৩,৫৮৫ একর জমিতে সেচ-সুবিধা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে, ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এলাকার প্রায় ৪০ হাজার কৃষক পরিবার উপকৃত হয়েছে। তবে ভাটির জনগণের মতে, রাবার ড্যামটি নির্মাণের ফলে তাদের পানি প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে। তারা ভাটিতে আরেকটি রাবার ড্যাম নির্মাণের অনুরোধ করেন। এটি ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাবার ড্যাম ব্যবহারের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

সামগ্রিকভাবে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে বরেন্দ্র অঞ্চলে। নদীসমূহ ভরাট, বেদখল ও সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বড়াল নদী মরে গেছে। পদ্মার উত্সমুখ ভরাট হয়ে গেছে। নদীর খননকৃত অংশে পানি আছে, কিন্তু অন্য অংশে পানি নেই। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমশ নীচে নেমে যাচ্ছে। উজানের পানি প্রবাহ কমে যাচ্ছে। জমির বহুমুখি ব্যবহারসহ কৃষি উত্পাদন ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। আম, পেয়ারা, কলাসহ অন্যান্য ফলের চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানিনির্ভর ধান চাষের জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। বরেন্দ্র এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে সেচের মাধ্যমে কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগ এলাকা সেচের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। অনেক এলাকায় বর্তমানে বছরে ৩টি ফসলের চাষ হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের পাশাপাশি সেচকাজে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের কর্মসূচিও বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর আওতায় পদ্মা, মহানন্দা প্রভৃতি নদী থেকে পন্টুন-এর সাহায্যে পানি উত্তোলনপূর্বক সেচকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি রাস্তা উন্নয়ন এবং রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ ও সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বনাঞ্চলের পরিমাণ কমে গেলেও রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ, সামাজিক বনায়ন এবং ফলের আবাদ বেড়ে যাওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চল ক্রমশ সবুজ হচ্ছে। মরুময় রুক্ষ বরেন্দ্র অঞ্চল এখন আর নেই। বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সেচকাজের পাশাপাশি খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে। আবার কিছু এলাকায় সৌরবিদ্যুত্ চালিত পাতকুয়া স্থাপন করছে, যা সেচের জন্য ব্যবহূত হচ্ছে। পাতকুয়ায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ঘরে বিদ্যুত্ এবং বিদ্যুতের বিকল্প উত্স (সৌরবিদ্যুত্) ব্যবহার বাড়ছে। বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পুকুর, খাল পুনঃখননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ করছে, যা সেচসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহূত হচ্ছে। এটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। বরেন্দ্র এলাকায় প্রচুর পুকুর, খাল, বিল রয়েছে— যা খনন করে বর্ষা মৌসুমে পানি সংরক্ষণ করে শুষ্ক মৌসুমে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। ভরাট হওয়া নদীসমূহ ড্রেজিং/খনন করে পানি সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বিলকুমারী ও শিবু নদ খনন করা আবশ্যক।

বর্তমানের রাজনৈতিক উন্নয়নের দাবি হওয়া উচিত নদীর নাব্য রক্ষা ও নদী পুনরুদ্ধার এবং নদী বাঁচাও আন্দোলন। মানসম্পন্ন বীজের সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রয়োজন ভূ-গর্ভস্থ পাইপের মাধ্যমে সেচের আওতা সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখা। পাশাপাশি পানির সমন্বিত এবং কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক।

বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠ পরিদর্শন থেকে এটি প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-তে ‘বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ এলাকা’র জন্য চিহ্নিত সমস্যা/চ্যালেঞ্জ এবং তা থেকে উত্তরণের যে কৌশল ও কর্মপন্থা বর্ণিত হয়েছে তা যথার্থ। সবশেষে এ কথাটি বলা যায় যে, একটি সময় ছিল যখন বরেন্দ্র অঞ্চল ক্রমশ মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এখন বরেন্দ্র অঞ্চলে সবুজের সমারোহ, ফসল উত্পাদনে বৈচিত্র্য আর সাধারণ মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার ছাপ স্পষ্ট— যা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরই প্রতিফলন।

লেখক: সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব), সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত