হেফাজতি তান্ডব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী: প্রথমত; আমাদের জানতে হবে এই ‘হেফাজতে ইসলাম’ বলে পরিচিত লোকজন কারা? ২০১০ সালের দিকে এই দলটি গঠিত হয়েছিল মুখ্যত কয়েকটি বড় বড় মাদ্রাসার শিক্ষক (মাদারেরস), ছাত্র (তালেবুল এলম) এবং এদের ওপর নির্ভরশীল কওমি ধারার লোকদের নিয়ে। চরমোনাইয়ের পীর, বাহাদুরপুরের পীরদের সংগঠনগুলোও এদের সাথে যুক্ত হয়। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আহমদ শফ...

হেফাজতে ইসলাম: অরাজনৈতিক সংগঠনের রাজনৈতিক অভিলাষ

আমিনুল ইসলাম আমিনঃ ২০০৯ সালের দিকে সরকার ঘোষিত নারীনীতিকে ইসলাম বিরোধী হিসেবে অভিহিত করে হেফাজতে ইসলামের জন্ম হয়। যদিওবা সরকার ঘোষিত নারীনীতির মধ্যে ইসলামবিরোধী কিছুই ছিলনা, বরং নারী নীতি ছিল এ দেশের পশ্চাদপদ, অবহেলিত নারী সমাজের অধিকার নিশ্চিত করার একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মাত্র। শুরুতে হেফাজতে ইসলাম নিজেদেরকে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করলেও সময় গ...

এখন হেফাজতের হেফাজত করবে কে?

বিভুরঞ্জন সরকার: সরকার যে তাদের প্রতি কঠোর হতে পারে, সরকারেরও যে নিজস্ব রাজনৈতিক লক্ষ্য, পরিকল্পনা এবং কৌশল আছে, সেটা সম্ভবত হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটির নীতিনির্ধারকরা ভুলে গিয়েছিলেন। গত কয়বছর আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে নমনীয় আচরণ পেয়ে হেফাজতের কিছু নেতা বেশিমাত্রায় উচ্চাভিলাষী হয়ে উঠেছিলেন। তারা ধরে নিয়েছিলেন, তারা যেহেতু ইসলামের হেফাজত করার নিয়তে মাঠ...

হেফাজতের হেফাজতকারী কে বা কারা

এম. নজরুল ইসলাম: গণমাধ্যমের টপ নিউজ এখন হেফাজতে ইসলাম ও মামুনুল হক। ২০১৩ সালে হঠাৎ করে লাইম লাইটে চলে আসা সংগঠনটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। নিজেদের অরাজনৈতিক বললেও সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বিভিন্ন সময়ে। আবার সরকারবিরোধী পক্ষ নিজেদের প্রয়োজনে এই ধর্মীয় সংগঠনটিকে ব্যবহার করতে চেয়েছে। গণমাধ্যমে বিভিন্ন স...