বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ সেলুন

10447

Published on মে 17, 2020
  • Details Image
    বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ সেলুন

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সেলুন
১. খোলার আগে মহামারী বিরোধী সামগ্রী যেমন মাস্ক, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরী করুন। আপদকালীন ডিসপোজাল এলাকা স্থাপন করুন। সকল ইউনিটের জবাবদিহিতা বাস্তবায়ন করুন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণকে জোরদার করুন।

২. কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করুন এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করুন।

৩. দোকানের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের সরঞ্জামগুলো স্থাপন করুন এবং কেবলমাত্র যারা সাধারণ তাপমাত্রাবিশিষ্ট তারাই যেন দোকানে প্রবেশ করতে পারে তা নিশ্চিত করুন।

৪. অফিসে বায়ু চলাচল বাড়ান। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনার স্বাভাবিক মাত্রায় চালান। বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল বৃদ্ধি করুন। বের হওয়া বাতাস যেন আবার ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করুন।

৫. প্রায়শই ব্যবহৃত দরজার হ্যান্ডল এবং সরঞ্জামাদি যেমন চেকআউট কাউন্টার, সিট, লকার পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন।

৬. হল, চেকআউট কাউন্টার এবং কাস্টমারের অপেক্ষার এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার করুন।

৭. টয়লেটে পর্যাপ্ত তরল সাবান সরবরাহ এবং কলগুলোতে পর্যাপ্ত পানির সুবিধা নিশ্চিত করুন।

৮. হেয়ার ড্রেসিং-এর সরঞ্জামগুলো এবং বহুল ব্যবহৃত সরঞ্জাম (যেমন তোয়ালে, এপ্রোন ইত্যাদি) প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন।

৯. সেলুনে ভিড় কমান এবং রিজার্ভেশন ব্যাবস্থার প্রচার করুন। সিট ব্যবধান ১.৫ মিটারের কম যেন না হয়। কাস্টমারদের নিরাপদ দূরত্ব এবং সংস্পর্শ ব্যতিরেকে পারিশ্রমিক দেয়ার কথা মনে করিয়ে দিন।

১০. কর্মীদের তাদের কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মনোযোগ দিতে এবং কর্মক্ষেত্রে মাস্ক পরতে হবে। হাতের হাইজিন জোরদার করুন। হাত পরিষ্কার রাখুন বা গ্লাভস পরুন এবং প্রত্যেক কাস্টমারের জন্য গ্লাভস পরিবর্তন করুন। হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে রাখুন।

১১. কাস্টমারদেরও মাস্ক পরতে হবে।

১২. পোস্টার, ইলেকট্রনিক স্ক্রিনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যজ্ঞান পরিবেশন জোরদার করুন।

১৩. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্তকরণ করতে হবে। একই সময়ে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেমকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মূল্যায়ন হওয়ার আগে পুনরায় চালু করা উচিত হবে না।

১৪. মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়, তাদের বিজনেস আওয়ার সংক্ষিপ্ত করতে বলতে হবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত