বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২ বছরের যাত্রাপথে সোনালি অর্জন বাংলাদেশ

2050

Published on 23rd জুন 2021 19:57

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যার হাত ধরে হাজার বছরের দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলে আপামর বাঙালি, জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। এরপর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়তে, ঝাঁপিয়ে পড়ে এই দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু ষড়যন্ত্র থামে না।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনোই থেমে ছিল না কুচক্রীরা। কিন্তু সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আওয়ামী লীগ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম-গ্রামান্তরে। গণমানুষের ভালোবাসা ও আস্থায় একমাত্র জায়গায় পরিণত হয় এই দল।

দেশভাগের পরপরই মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার অধিকার নিয়ে সোচ্চার হন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। একই সঙ্গে মানুষের ঘরে ঘরে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার বার্তা পৌঁছে দেয় আওয়ামী লীগ। ফলে ধর্মের নামে মুসলিম লীগের ভণ্ডামির মুখোশ খুলে যায়। ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টকে নৌকা মার্কায় একচেটিয়াভাবে ভোট দেয় মানুষ। বাংলার মানুষের ভালোবাসার দলে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ।

দলের মুখপাত্র হিসেবে দেশের প্রতিটি প্রান্তে নিয়মিত জনসভা করতে থাকেন বঙ্গবন্ধু। এরই এক পর্যায়ে সামরিক শাসন জারি হয় দেশে। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে রাজনীতি। জেল-জুলুমে ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে প্রাণ।

কিন্তু বর্ষীয়ান নেতাদের নীরবতার কুণ্ডলী ভেঙে, নতুন করে আওয়ামী লীগকে জাগিয়ে তোলেন- গণমানুষের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। বন্দুকের নল উপেক্ষা করে দেশজুড়ে কমিটি গঠন করেন তিনি। গড়ে ওঠে স্বৈরাচারবিরোধী জনমত।

এরকম একটি অগ্নগর্ভ সময়ে, ১৯৬৬ সালে, বাঙালির বাঁচার দাবি 'ছয় দফা' ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়া হয় তাকে।

তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হয়ে ওঠেন দলের প্রধান। ছয় দফার পক্ষে দেশজুড়ে শুরু হয় গণজোয়ার। বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও মানুষের মনে থাকা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন- মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। মুক্তির ম্যান্ডেট দেয় জনগণ, স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এরপর, পাকিস্তানিদের স্বয়ংক্রিয় ট্যাংকের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করে আপামর বাঙালি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় মুক্তিযুদ্ধ। অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা।

শুরু হয় দেশ গঠনের কাজ। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের কারণে, স্বাধীনতার নতুন সূর্য আবারো ঢেকে যায় মেঘে। ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় স্বাধীনতার নেতৃত্ব দানকারী এই দলটিকে।

কিন্তু ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের হাল ধরেন। স্বৈরাচার ও উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে দেড় যুগ রাজপথে সংগ্রাম করেন। ফিরিয়ে আনেন সংসদীয় গণতন্ত্র।

১৯৯৬ সালে তার হাত ধরেই সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দেশ হয় খাদ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এরপর আবারো ছন্দপতন। বিএনপি-জামায়াত চক্রের লুটপাট ও সন্ত্রাসের কবল থেকে ২০০৮ সালে আবারো দেশকে রক্ষা করে আওয়ামী লীগ।

জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে, দেশ এখন সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করে- উন্নত বিশ্বের পথে ধাবমান।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরে, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়।