নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

559

Published on ডিসেম্বর 3, 2022
  • Details Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে আবদুল কাদের মির্জাকে সভাপতি ও মিজানুর রহমান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বসুরহাট এএইচসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ এ কমিটির অনুমোদন দেন।কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের সমর্থনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এ কমিটি ঘোষণা করেন। 

এর আগে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন মানি আগুন সন্ত্রাস। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক,সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি জানান দিচ্ছে তারা আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করবে। মানুষ আতঙ্ক গ্রস্থ। আমরা ক্ষমতায় আছি,আমরা অশান্তি চাইনা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তারেক রহমান বলে হাসিনা পালাবে,মন্ত্রীরা পালাবে। কিন্তু সে যে ১৪বছর পালিয়ে আছে সে কথা বলেনা কেন। ২০০৮ থেকে পলাতক তারেক রহমান বলে হাসিনা পালাবে। শেখ হাসিনাও বলেনা। এত বেয়াদব। আমরা বেগম খালেদা জিয়া বলি। সম্মানের সাথে নেত্রীর নামটা উচ্চারণ করেনা। ১৯ বছর যিনি ক্ষমতায় আছেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট মারতে চেয়েছেন। জিয়উর রহমান মেরেছে বঙ্গবন্ধুকে। মুফতি হান্নান বলেছে হাওয়া ভবন থেকে তার নির্দেশ পেয়ে গ্রেনেড হামলা করেছে। তারেক রহমানের লোকেরা এখানে আমাদেরকে ভয় দেখান তারেক রহমান আসবে বীরের মত। কাপুরুষের মত যে পালিয়ে গেছে। সে বীরের মত আসবে। এত বছরে যা ঘটল না। এখন ঘটবে সেটা বিশ্বাস হয়না।

সেতুমন্ত্রী বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে উদ্দেশ করে বলেন, যেখানে পাকহানাদার বাহিনীরা আত্মসমর্পণ করেছে। দুনিয়ার ইতিহাসে অন্যতম সেরা ভাষণ, স্বাধীনতার ডাক, সেই স্মৃতি যেখানে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ভয় কেন। তারা যে মনে মনে চেতনায় হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেননা এটাই তার প্রমাণ। পল্টনে কয়টা লোক ধরবে। ছোট্র জায়গায় যাবে অঘটনের ভয়ে ফখরুল বলছে। অঘটন কে ঘটাবে। বিআরটিসির গাড়ি পুড়িয়ে অঘটন কে ঘটাবে আপনারাই জানিয়ে দিলেন কারা অঘটন ঘটাতে পারে।

হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন,  এই আসন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আসন। তিনি আপনাদের জন্য যেমন গর্ব ঠিক বাংলাদেশের জন্যও গর্ব। অনেক সুন্দর সম্মেলন আপনারা উপহার দিয়েছেন। সবার অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়েছে। আগামীতে সবাই মিলেমিশে কাজ করবেন এই প্রত্যাশা করছি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রাত নন্দী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন,  সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা প্রমুখ বক্তব্য দেন। 

 

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত