মুজিববর্ষে রোপিত কোটি গাছ পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে

2749

Published on নভেম্বর 15, 2020
  • Details Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, 'মুজিববর্ষের কর্মসূচিসহ গত এক বছরে বন বিভাগের মাধ্যমে দেশে মোট ৮ কোটি ৬১ লাখ ৬২ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছে। এসব গাছ জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, কার্বন নিঃসরণ প্রশমন, অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি, খাদ্য-পুষ্টিসহ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন বৃদ্ধিসহ দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।'

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) তথ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক কোটি বৃক্ষের চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পাদন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, 'পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এখন আমাদের সবার সাংবিধানিক দায়িত্ব। সবাই সম্মিলিতভাবে প্রকৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করলেই আমরা দেশের পরিবেশ উন্নত করতে পারবো।'

সংবাদ সম্মেলনে আরও উস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, পরিবেশ, বন ও জলবাযু পরিবর্তন মন্ত্রণালযের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. বিল্লাল হোসেন এবং প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী।

পরিবেশ মন্ত্রী জানান, মুজিববর্ষের এক কোটি চারা রোপণের পাশাপাশি চলতি বছরে বন অধিদফতর ১৪ হাজার ৬৬৯ হেক্টর ব্লক বাগান, ১ হাজার ৬১০ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান এবং উপকূলীয় এলাকায় ১০ হাজার ৭৭ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজনের মাধ্যমে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার চারা রোপণ করেছে। এছাড়াও জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে মোট ১৪ লাখ ৮০ হাজারটি বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলদ ও ওষধি বৃক্ষের চারা সারাদেশে রোপণের জন্য বিতরণ করা হয়েছে। এসব গাছের সঠিক পরিচর্যা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬ জুলাই গণভবণ প্রাঙ্গণে ১ কোটি গাছের চারা রোপণের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী জানান, এর পর থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এক কোটি চারা বিতরণ ও রোপণের কাজ শেষ করা হয়। এক কোটি চারার মধ্যে চিকরাশি, চাপালিশ, কড়ই, মেহগনি, কদম, গামারি, জারুল, বকুল, সোনালু, হিজল, মহুয়া, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি বনজ প্রজাতি রয়েছে। এছাড়া জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, আমড়া, জলপাই, কাঠ বাদাম, বেল, তেঁতুল, চালতা, লটকন ইত্যাদি ফলদ প্রজাতি ও আমলকি, হরিতকি, বহেরা, অর্জুন ইত্যাদি ওষধি প্রজাতির চারা রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বৃক্ষরোপণ অভিযান এক নতুন মাত্রায় গতি লাভ করেছে। বনবিভাগ রোপিত চারাগুলো বৃক্ষে পরিণত হলে আগামী ৫ বছর জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপজেলাভিত্তিক বৃক্ষ আচ্ছাদন পরিমাপের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গাছের বেড়, উচ্চতা ও এতদঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য হিসাব প্রয়োগ করে বৃক্ষে জমাকৃত কার্বন পরিমাপ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বন অধিদফতরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত