ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন

8608

Published on ডিসেম্বর 29, 2021
  • Details Image

বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

  • ১১ মে ২০১৮ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস স্টেশন হতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন করা হয়।
  • বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পরিচালনার জন্য গাজীপুরে ‘সজীব ওয়াজেদ ল্যান্ডিং স্টেশন’ স্থাপন করা হয়েছে।
  • বর্তমানে প্রায় শতভাগ নাগরিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। দেশে মোবাইল সংযোগের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি।
  • ৮,৫০০টি ডাকঘরকে পোস্ট ই-সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছে
  • নারীর ক্ষমতায়নে টেলিটক কর্তৃক ২০ লক্ষ মহিলার নিকট অপরাজিতা সিম বিতরণ করা হয়।
  • ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, কেমিক্যাল মেজারমেন্ট, খনিজ সম্পদ বিষয়ে গবেষণা ইত্যাদির জন্য ৪টি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে।

আই টি শিক্ষার প্রসার, সফটওয়ার শিল্পের প্রসার

  • যশোরে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক,’ ঢাকায় ‘জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, গাজীপুরে “বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি”, ‘সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি’ ও দেশের সাতটি স্থানে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টা’র স্থাপন করা হয়েছে।
  • বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাব স্থাপন করে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।
  • ১৩টি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব এবং আইসিটি বিভাগে একটি ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
  • শিক্ষক বাতায়নে শিক্ষামূলক দেড় লক্ষাধিক ডিজিটাল কনটেন্ট, কিশোর বাতায়নে ২০ হাজারেরও অধিক কনটেন্ট শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • ২,৬৪,৯৭১ জনকে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৮,৭৮৩ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
  • ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।

ইন্টারনেট সেবা

  • বর্তমানে বাংলাদেশের ৭২% লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালু করা হয়েছে।
  • বাংলাদেশ ২য় সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হয়েছে।
  • ৩,৬০০টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।
  • দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) চালু করা হয়েছে। ১,১১০টি ইউনিয়ন পরিষদে এবং ৩৪০ টি উপজেলা পরিষদে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে মোট ১৬৯০০ কি. মি. অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন হয়েছে।
  • দেশে উচ্চপ্রযুক্তির ৩১টি বিশেষায়িত ল্যাব ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে।
  • বর্তমানে সারা দেশে ৭ হাজার ৬০০টি ডিজিটাল সেন্টার এবং এবং ৮ হাজার ৫০০ টি ই-পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ব্যাংকিং এবং ই-কমার্স সেবাসহ ৩০০টির অধিক সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ

  • নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি অফিসের তথ্য সম্বলিত বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ৩৩৩ কলসেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
  • কৃষকরা খুব সহজে তথ্য পাওয়ার জন্য কৃষিবাতায়নে ৭৮ লক্ষ কৃষকের তথ্য, মাঠপর্যায়ে কর্মরত ১৮ হাজার কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা, ৫০৪টি উপজেলা কৃষির তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে।
  • ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নে ১৮৪৩৪টি সররকারি অফিসকে একীভুত পাবলিক নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।
  • সারাদেশে ৮০৪টি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে এবং ১০১৩টি বিদ্যুৎবিহীন ইউনিয়নে সৌর-বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার‘ স্থাপন করা হয়েছে।
  • সারাদেশে সকল ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রায় ৭ লক্ষ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ

  • মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের ৪.৬ কোটি হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১ পর্যন্ত প্রায় ১৮ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
  • ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের মাত্র ৪০ লক্ষ হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১ পর্যন্ত প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
  • ২০০৮ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭.৫ জিবিপিএস, বর্তমানে দেশে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার ৬৭৩ জিবিপিএস ছাড়িয়েছে।
  • সমগ্র বাংলাদেশের জেলা শহরগুলোর মধ্যে প্রায় ৯৯% শহর ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।
  • ২০১২ সালে থ্রিজি নেটওয়ার্কের উদ্বোধন। বর্তমানে দেশের সবগুলো জেলা শহরে টেলিটকের থ্রিজি সেবা চালু হয়েছে।
  • ২০২১ এ পরীক্ষামূলকভাবে তে ৫জি-চালু করা হয়েছে।
  • ৩টি দুর্গম পার্বত্য জেলার সব উপজেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু এবং সুন্দরবনের মত দুর্গম স্থানে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
  • বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ২১,৫০০ কি.মি. অপটিক্যাল ফাইবার অবকাঠামো রয়েছে। পূর্বে ছিল মাত্র ১৯০০ কি.মি.।
  • ঢাকা-কুয়াকাটা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লিংকের মাধ্যমে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।
  • টেলিটক ‘মায়ের হাসি’ প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলের ছেলে-মেয়েদের সরকারী বৃত্তি প্রদানের জন্য বিনামূল্যে ১০ লক্ষ সিম বিতরণ করেছে। টেলিটক ‘উচ্চমাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের’ আওতায় শিক্ষার্থীদের সরকারি বৃত্তি প্রদানের জন্য বিনামূল্যে ১.৭৫ লক্ষ বর্ণমালা সিম বিতরণ।
  • বসেই এখন গ্রাহকরা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবার বিল প্রদান করতে পারবেন।
  • বর্তমানে ২৩,৩৩১টি মাধ্যমিক, ১৫,০০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
  • আদালতের কার্যক্রম আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ডিজিটাল মোবাইল কোর্ট সিস্টেম চালুর মাধ্যমে ৪১,৪৩১টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে।
  • প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকসহ সারাদেশব্যাপী প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ১কোটি মানুষ ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করেছে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত