কক্সবাজারে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতির 'ফুড ব্যাংক'

3724

Published on মে 28, 2020
  • Details Image
  • Details Image

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জারি করা লক ডাউনের কারণে কর্মহীন নিম্নআয়ের গ্রামীণ মানুষদের জন্য ফুড ব্যাংক চালু করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাবেক সহ সভাপতি প্রশান্ত ভুষন বডুয়া ।

নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে স্থানীয় চাষীদের সাথে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেন রামু ফুডব্যাংক। এই ফুডব্যাংকের বৈশিষ্ট্য হলো স্থানীয় চাষীরাই তাদের উৎপাদিত ফসলের অতিরিক্ত ফুডব্যাংকের জন্য যার যার গৃহে মজুত রাখছেন। প্রয়োজনের সময় ঐ এলাকায় যে সমস্ত পরিবারের খাদ্য সাহায্য দরকার চাষীরাই তাদেরকে যোগান দিছেন। ফুডব্যাংক চাষীদেরকে স্থানীয় বাজার মূল্যে অপেক্ষা ৫% অতিরিক্ত মূল্য প্রদান করছেন।

যে সমস্ত পরিবারে স্কুলগামী ছেলে মেয়ে রয়েছে খাদ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তারা অগ্রাধিকার পাচ্ছে। করোনার বিপদ কেটে গেলেও ফুড ব্যাংক চলমান থাকবে বলে জানান তিনি। আগামী বর্ষাকালে, যে সমস্ত পরিবারে স্কুলগামী শিশুরা রয়েছে সে সমস্ত পরিবার নিয়মিত খাদ্য যোগানের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ পাবেন।

গত একমাসে ফুডব্যাংকের আওতায় দুর্গম ঈদগড়ের বৈদ্য পাড়া, রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন, কুলাল পাড়া, হাসপাতাল পাড়া, চাকমারকূল, কক্সবাজার সদরের সিকদার পাড়া, পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া সহ ৫ টি ইউনিয়নের ৩০৫ টি পরিবারকে ১৫০০ কেজি চাল, ৩০০ কেজি ডাল, ১০০ কেজি পেয়াজ, ১০০ কেজি রসুন, ৫০ কেজি টমেটো, ১৫০ কেজি আলু, ১০০ কেজি বরবটি, ৫০ কেজি কাচা মরিচ, ৩০০ কেজি বেগুন খাদ্য সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। চাকমারকূল অজান্তা বৌদ্ধ বিহারে এবং খরুলিয়ায় "মা‌`আরিফুল কুরআন মাদ্রাসায়" ফুডব্যাংকের পক্ষ থেকে ২০০ কেজি চাল, ২০০ কেজি বিভিন্ন প্রকার সবজি প্রদান করা হয়।তাছাডা ফুড ব্যাংক এর সহায়তায় জেলার ৭০০ টি ছাত্রলীগ পরিবারকে ঈদ এর জন্য পোলাও চাল,সেমাই, দুধ, চিনি প্রদান করা হয়েছে।

ফুডব্যাংকের এই ধারণা নিয়ে উদ্যোগক্তা সাবেক ছাত্রনেতা ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া জানান, "করোনাকালীন দুর্গত মানুষদের জন্য কি করা যায় তা ভাবছিলাম। মনে পড়ল বিগত কয়েকবছর ধরে বর্ষাকালে বন্যার পানিতে স্কুলের টিউবওয়েলগুলি যখন ডুবে যেত শিশুরা সুপেয় পানির অভাবে পড়ত। তখন ছাত্রলীগের একদল স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে প্রায় ২৭০০ জন প্রাথমিক শিশুকে ১ মাসের জন্য রুটি, ডিম, কলা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছিল।

করোনাকালীন সংকটে সেই স্বেচ্ছাসেবকগন এবং স্থানীয় চাষীদের অংশগ্রহণে খাদ্য জোগাড় ও যোগানের একটি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়েতুলি। এইভাবেই তৈরি হয়ে যায় রামু ফুডব্যাংক। ভবিষ্যৎ এ স্থানীয় চাষীদের উৎপাদিত পন্য যাতে শহরের ভোক্তাদের কাছে সরাসরি পৌছে দেয়া যায় সে ব্যাপারেও ফুডব্যাংক কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ২০ টি ইউনিয়নের ১০০০ টি পরিবার ফুডব্যাংকের বার্ষিক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবে।" কক্সবাজার জেলার ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ভলান্টিয়ার হয়ে ফুড ব্যাংক এর কাজে প্রভূত সহায়তা করছেন।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত