বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ শিশু

1214

Published on মে 27, 2020
  • Details Image

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শিশু

১. শিশুদেরকে সাধারণ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি যেমন- বারবার হাত ধোয়া, আশেপাশের পড়ে থাকা জিনিসপত্র না ধরা, হাত না ঘষা, নাকে আঙুল না ঢুকানো, চোখ ঘষাঘষি না করা ইত্যাদি অভ্যাসগুলো সম্পর্কে শিক্ষাদান করতে হবে এবং সঠিকভাবে চালনা করার জন্য সহায়তা করতে হবে।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং পুষ্টিগুণ সম্বদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।
৩. শিশুদের ব্যবহৃত খাবারের থালা / বাটি, তোয়ালে এবং অন্যান্য সামগ্রী আলাদা রাখতে হবে যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে।
৪. জনসমাগম পূর্ণ এলাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। শিশুদের খেলাধুলার জন্য কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা অথবা পার্ক যেখানে আলো-বাতাস-এর সুগম চলাচল থাকে সেসব জায়গার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ অর্থাৎ ঘরের ভেতরের গেম বা খেলাধুলা থেকে শিশুদের বিরত রাখতে হবে।
৫. বাহিরে যাওয়ার সময় শিশু, বাবা-মা, অভিভাবকগণ সবাইকে অবশ্যই নিজেদের সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। যেমন- শিশুদের ক্ষেত্রে চাইন্ড মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। বাইরে যাওয়া পরিহার করতে হবে। একান্ত যেতে হলে বাইরে থেকে ফিরে এসে কাপড় পরিবর্তন করতে হবে এবং সেই সাথে হাত ও মুখ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
৬. মহামারীর সময়ে শিশুর টিকাদানের সময় চলে এলে অভিভাবকগণ টেলিফোনের মাধ্যমেটিকাদান কর্মীর সাথে পরামর্শ করে টিকাদানের সময়কাল ঠিক করে নিতে পারেন। তবে যথাযথ সুরক্ষা বজায় রেখে যথাসময়ে শিশুকে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে টিকা দেওয়া উচিত। কিছু কিছু টিকার ক্ষেত্রে সময় পরিবর্তন করা যায়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই টিকাদান কর্মীর পরামর্শ নিতে হবে।
৭. বাবা-মা, অভিভাবক অথবা শিশুর তত্তাবধায়ক অবশ্যই সবসময় হাত পরিষ্কার রাখবেন। শিশুর সামনে কখনো হাঁচি-কাশি দিবেন না অথবা ফুঁ দিবেন না। শিশুকে চুমু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাওয়ানোর সময় ফুঁ দিয়ে গরম খাবার ঠান্ডা করা থেকে বিরত থাকুন। আগে থেকে খাওয়া কোন কিছু শিশুর মুখে দিবেন না।
৮. শিশুর পরিচর্যার সময় বাবা-মা অথবা শিশুর তন্বাবধায়ক, মাস্ক পরিধানের চেষ্টা করবেন।
৯. বাবা-মা, অভিভাবক অথবা শিশুর তত্ত্বাবধায়ক এর যদি জ্বর, ঠান্ডা, শুকনা কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয় তবে তৎক্ষণাৎ শিশুর পরিচর্ষা ছেড়ে দিয়ে অন্য কারো হাতে সেই দায়িত্ব দিয়ে দিবেন এবং নিজেকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নিয়ে নিবেন।
১০. শিশু যদি কোন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গমন করে থাকে অথবা কোন কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকে তবে তা অবশ্যই ডাক্তার, সমাজ ও স্কুলে জানিয়ে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত