আগামীকাল জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী

2558

Published on ডিসেম্বর 22, 2019
  • Details Image

আগামীকাল ২৩ ডিসেম্বর জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জননেতা আব্দুর রাজ্জাক লন্ডনে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সংগ্রামমুখর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আব্দুর রাজ্জাক তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, শান্তি ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনে। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথমসারির সংগঠক ও নেতা। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬-দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৬৬-১৯৬৭ ও ১৯৬৭-১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জননেতা আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ২টি করে আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আব্দুর রাজ্জাক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ’৭১-এর ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। একটি উন্নত সমৃদ্ধ সুখী সুন্দর অসা¤প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামে প্রয়াত জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের অনন্য অবদান বাঙালি জাতির স্মৃতিতে অম্লান থাকবে।

জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সকাল ৮:৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এরপর ফাতেহা পাঠ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী, জনসাধারণকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি    
তারিখ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত