আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

4679

Published on এপ্রিল 20, 2019
  • Details Image

রাষ্ট্রপরিচালনায় থাকলে সাধারণত জনপ্রিয়তা হ্রাস পায় সেখানে বিগত বছরগুলোতে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ’র আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার সুচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণত রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে অনেক সময় সরকার ধীরে ধীরে মানুষের কাছ থেকে হারিয়ে যায় বা তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে জনগণের আস্থা বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি, জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচন, যেটা হয়ে গেল; যদি নির্বাচনের দিক তাকান দেখবেন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থণ করেছে। যেটা অতীতে কখনো দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, এবার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানায়। এমনকি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, ছাত্র; সবচেয়ে বড় কথা যারা প্রথমবারের ভোটার, নবীন ভোটার সকলেই আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারা চেয়েছে, তাদের সেবা করার জন্য, মানুষ ভোট দিয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের ভরাডুবির কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান- যেহেতু মিলিটারি ডিকটেটর ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় গিয়ে এসব দল গঠন করেছে, খুব স্বাভাবিক ভাবে এরা হচ্ছে পরজীবীর মতো।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে তারা মনে করেছে ব্যবসা। টিকেট বেচে তারা কিছু পয়সা তারা কামাই করে নিয়েছে কিন্তু নির্বাচনের প্রতি তাদের খুব একটা নজর ছিল না।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় আর্ন্তজাতিক ভাবে যখন সার্ভে করা হয়েছিল, সেই সার্ভেতে তখন থেকে স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগকে জনগণ চায়। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে এবং আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। তারা নির্বাচন করার জন্য একটা নির্বাচন করার আর বাণিজ্য করা। বাণিজ্য করার ওপর তারা গুরুত্ব দিয়েছে। যার জন্য তাদের এই হাল।

বিএনপি-জামায়াত আমলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাই হোক দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এগুলোই ছিল তাদের কাজ। আজকে দেশের মানুষ অন্তত শান্তি পাচ্ছে।

এবারের নববর্ষ সবাই উৎসাহ-উদ্দিপনায় উদযাপন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার ব্যাপক ভাবে নর্ববর্ষ উদযাপন হয়েছে। শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সকলে এই উৎসবটা করেছে। আমরা কিন্তু নববর্ষ ভাতাও দিচ্ছি।

বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় পুনব্যক্ত করেন তিনি।

জাতির পিতার অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন দেশটা জাতির পিতার নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করে তখনই ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনা ঘটে। নির্মম ভাবে হত্যা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

১৫ আগস্ট পববর্তী ২১ বছরের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এর পর জাতির জীবনে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। এ সময় মানুষের কোন অগ্রগতি হয়নি। কেবল মাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখনই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সরকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে টানা তিনবার মিলিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতা আসে আওয়ামী লীগ, এর পর ২০০৮ সালে নির্বাচনে আবারো বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করি এবং পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। বাংলাদেশ আজকে ক্ষুধা মুক্ত, বাংলাদেশ আজকে দারিদ্র মুক্ত হবার পথে। আমরা প্রায় ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে দারিদ্রের হার নামিয়ে এনেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সাথে সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ছোঁয়া আজকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত পৌছেঁ গেছে। আজকে গ্রামের মানুষ দারিদ্র মুক্ত হচ্ছে, মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ছে। এটাই জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল, যেটা জাতির পিতা চেয়েছিলেন যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলাদেশ।

সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রায় সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত