চক্রান্ত সেদিন যেমন ছিল আজও তেমনি আছে

6933

Published on আগস্ট 12, 2018
  • Details Image

মুহম্মদ শফিকুর রহমানঃ

বাঙালী জাতির ইতিহাসের কালরাত ১৫ আগস্ট তিনদিন পরই। সেদিন যে চক্রান্তে কালরাতের সৃষ্টি হয়েছিল, যে চক্রান্তে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, চক্রান্ত সেদিন যেমন ছিল আজও তেমনি আছে। ভবিষ্যতেও যে থাকবে এমন ভবিষ্যদ্বাণীও করতে পারি না। রাষ্ট্রক্ষমতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা Women leader of the world, তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মিলিটারি জিয়া ক্ষমতা দখল করে কেবল বিষবৃক্ষের চারা রোপণ করেছে, একটিও আম গাছের চারা লাগায়নি, একটিও কাঁঠাল গাছের চারা লাগায়নি, একটি লিচু, জাম, কমলালেবু, তাল, নারিকেলের চারা লাগায়নি। লাগায়নি সচেতনতার ধানের চারা। মিলিটারি জিয়া চেয়েছিল গোটা দেশ জঙ্গীবাদের বিষবৃক্ষে ভরিয়ে দেবে এবং তথাকথিত শিক্ষিত সুশীল বাবুদের সেই বিষবৃক্ষ ছায়া দেবে। ছায়া দেবে রাজাকার-আলবদর-জামায়াত-মুসলিম লীগ এবং পাকিস্তানপন্থী বিএনপিকে।

থ্যাঙ্ক গড, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আবার বাংলার মাটিতে আম-জাম-লিচু-তাল-নারিকেল চারা ডাল-পাতা ছড়িয়ে বেড়ে উঠেছে। বিষবৃক্ষগুলো এখন আস্তে আস্তে মরতে শুরু করেছে। অনেকগুলো বিষবৃক্ষ ভোল পাল্টে বাঁচার চেষ্টা করছে। এদের টার্গেট প্রধানত ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগে ঢোকার অর্থ সরকারী চাকরি, ক্ষমতাসীন দলের সদস্যপদ লাভ। কিন্তু যতই তারা ভোল পাল্টাক বা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিক তাদের মনোজগতে একাত্তরের পরাজিত জামায়াত-শিবির-বিএনপি-মুসলিম লীগ। তারা সরকারের বড় পদে বসে, সরকারী দলের চেয়ারে বসে প্রতিহিংসার আগুন জ্বালছে। তারই বহির্প্রকাশ আমরা দেখি কখনও ১৫ আগস্টের কালরাত সৃষ্টি করছে, কখনও ২১ আগস্ট কিংবা কখনও ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের ভেতর থেকে স্যাবোটাস করছে। মিথ্যা বলে বা গুজব ছড়িয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের স্থিতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। কখনও পেট্রোলবোমা, কখনও ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে রক্ত ঝরাতে চাইছে। অথচ কেউ কেউ আজ মুক্তিযোদ্ধার কোর্তা গায়ে দিয়ে পিঠে ঝোলা ঝুলিয়ে, বোমা-চাপাতি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার ইয়াবা-হেরোইন সরবরাহ করে তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। এদের কাছে ধর্ম-কর্ম-নীতি-নৈতিকতার কোন দাম নেই। ধর্মের বুলি ওদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পাথেয় মাত্র। ধর্মীয় অনুশাসন ওদের মধ্যে কোন আছর করে না। যারা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা এবং পাঁচ লক্ষাধিক মা-বোনকে ধর্ষণ এবং হত্যা করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে বা করতে সক্ষম তারা সবকিছু করতে পারে। পারে বলেই তারা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা এবং তিন শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে আহত করতে পারে, পেট্রোলবোমা মেরে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করতে পারে, তারা একদিকে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলে আবার খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির দায়ে দন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠালে বা খালেদা পুত্রকে দুর্নীতির দ- দিলে প্রতিবাদ করে বলে এটি রাজনৈতিক দন্ড।

যখন ভাবি ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট একটি পরিবার এবং তাদের নিকটাত্মীয় মিলে ১৭ জনকে কি পৈশাচিকভাবে গুলি করে, বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হলো, তারপরও তারা নির্বিকার। বরং উল্লসিত। কে না জানে এ হত্যাকান্ডের পেছনে মোশতাকের সঙ্গে মিলিটারি জিয়াও জড়িত ছিল। শোনা যায় খুনী ফারুক-রশীদ ১৫ আগস্টের আগে জিয়ার সঙ্গে দেখা করলে জিয়া নাকি বলেছে Go ahead. I am a senior army officer. I cant be involved directly. হত্যাকান্ড ঘটানোর পর জিয়ার মন্তব্য ছিল so what? vice President is there. he will takeover. আমি মনে করি, এরপর মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের আগেই মোশতাক মারা যায় এবং তার লাশ যখন দাউদকান্দির গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল দাফনের জন্য তখন বিভিন্ন স্থানে পথের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষ থু থু ছিটিয়েছে। আর জিয়াও বিচারের আগেই চট্টগ্রামে নিহত হয়ে যায়। এই দু’জনকে বিচার করা গেলে অনেক অজানা তথ্য জানা যেত। তারপরও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা যে, তিনি বিচারটি করিয়েছেন। সেইসঙ্গে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করেছেন। আজ হোক কাল হোক খালেদা জিয়াকেও বেঁচে থাকলে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

মনে পড়ে ১৫ আগস্টের আগের রাতে কথা। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ডাকসুর আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। বঙ্গবন্ধুকে সম্বর্ধনা দেয়া হবে। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ডাকসুর সদস্যপদ পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এই সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। কিন্তু তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি না হয়ে ঢাকায় এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’তে (ফার্স্ট পার্ট) ভর্তি হন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী আর কারাগারের রোজনামচা পড়লেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কেন তিনি ঢাকা চলে এলেন। ’৪৭-এ ভারত ভাগ হলো। যে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের জন্য আন্দোলন করেছিলেন তিনিই যে পাকিস্তান হলো তা মেনে নিতে পারলেন না। অর্থাৎ যে পাকিস্তান হলো তা বাঙালীদের জন্য নয়। তাই ঢাকায় এসে আবার নিজস্ব জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হবে। ঢাকায় তো এলেন, ভর্তিও হলেন; কিন্তু অতি অল্প দিনেই গ্রেফতার হলেন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হলো মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে, ছাত্রত্ব থাকবে। কিন্তু তিনি তো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমান, কারও কাছে মুচলেকা দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাই জেল থেকেও মুক্তি দেয়া হলো না আবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করা হলো পারমানেন্টলি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আরও কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুনেছি তারা মুচলেকা এবং ১৫ টাকা করে জরিমানা দিয়ে জেল থেকেও ছাড়া পেলেন, তাদের ছাত্রত্বও রয়ে গেল। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মেই তারা হারিয়ে গেছেন। আবার প্রাকৃতিক নিয়মেই বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাঙালীর জাতিরাষ্ট্রের পিতা হয়ে আরও হাজার হাজার বছর বেঁচে থাকবেন প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ে, প্রতিটি মানুষের বিপ্লবী চেতনায়।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম তখন ডাকসুর ভিপি। বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পাসে আসছেন, তাই তার নেতৃত্বে ডাকসু, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন ও কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন করে সাজানোর কাজ করছে। তখন আমি ইত্তেফাকের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট। আমাদের নিউজ এ্যান্ড এক্সিকিউটিভ এডিটর আসাফ-উদ-দৌলা রেজা আমাকে এসাইনমেন্ট দিলেন ইভেন্টটি কাভার করতে। বলা যায় ১৪ আগস্ট পুরো দিন গড়িয়ে রাত পর্যন্ত আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম। রাত ১০টার দিকে একটি স্টোরি লিখে অফিসে জমা দিলে রেজা ভাই বললেন ১২টার দিকে সর্বশেষ ডেভেলপমেন্ট লিখে যেতে। আবার ক্যাম্পাসে গেলাম। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল রাত ১২টার দিকে তার নবপরিণতা স্ত্রী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়াবিদ সুলতানা কামালকে (বিয়ে হয়েছে তখনও এক মাস হয়নি) নিয়ে গাড়ি চালিয়ে ক্যাম্পাসে এলেন। আমিও তখন অফিসে গিয়ে লেটেস্ট ডেভেলপমেন্ট অংশ লিখে বাসায় চলে যাই। তারপর সব শেষ। সেদিন কি লিখেছিলাম, বর্ণনাটি কেমন হয়েছিল মনে নেই। কিন্তু আমার সেই স্টোরি ছাপা হয়নি।

কি প্রাণবন্ত তরুণ ছিল শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধুর মতোই ব্যাক ব্রাশ করা চুল, মোটা গোপ, মোটা ফ্রেমের চশমা, যেন বঙ্গবন্ধুরই ছেলেবেলা। সর্বগুণে গুণান্বিত শেখ কামাল ছিলেন তরুণ সমাজের আদর্শ। গান গাইতেন, সেতার বাজাতেন, ক্রীড়াঙ্গন-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ছিল তার সরব পদচারণা। সোসিওলজি ডিপার্টমেন্টের মেধাবী ছাত্র। ইচ্ছা করলে ছাত্রলীগের বড় পদে যেতে পারতেন। পিতা বাঙালীর জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, পুত্র যদি চাইতেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হওয়া তার জন্য কোন ব্যাপারই ছিল না। বরং শেখ কামাল ছাত্রদের সুপথে পরিচালনার জন্য ক্লাসের বাইরে খেলার মাঠ, ন্যাটাঙ্গনে, সঙ্গীতাঙ্গনের দিকে টেনেছেন। আবাহনী ক্রীড়াচক্রের মতো ফুটবল, ক্রিকেট টিম গড়ে তোলেন। নাট্যচক্রের মাধ্যমে নাটকের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এবং নিজেও অভিনয় করেছেন। একই সঙ্গে স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে সঙ্গীতের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। আবার পরীক্ষায়ও ভাল রেজাল্ট করেছেন। আজও চোখ বন্ধ করলে সেই প্রাণবন্ত যুবককে দেখতে পাই। বাংলাদেশের এক নম্বর রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রক্ষমতাধর পরিবারের সন্তান হয়েও আদব-কায়দায় ছিল অতুলনীয়। আমি তার বড় বোনের ক্লাসমেট এ কথা সব সময় মনে রাখতেন। দেখা হলে সালাম দিয়ে কথা বলতেন। কোন লোভ ছিল না। কোন ব্যবসা করেননি, অর্থোপার্জনের দিকে যাননি। কখনও শার্ট ইন করতে দেখিনি। একটি শার্ট একাধিক দিন পরতে দেখেছি। আসলে বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের পরিবারের শিক্ষাই ছিল এমন। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি নেহায়তই সাদামাটা শাড়ি পরে ক্লাসে আসতেন, গণঅভ্যুত্থানে যোগ দিতেন, মিছিলের অগ্রভাগে থাকতেন। অপর সন্তান আর্মি কমিশন্ড অফিসার শেখ জামাল ও তার নবপরিণীতা স্ত্রী রোজি জামাল, কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা বা কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেলকে কাছে থেকে দেখিনি, তার আগেই ঘাতকচক্র তাদের কেড়ে নিল।

প্রথমেই বলেছি সেদিন যেমন ষড়যন্ত্র ছিল, এখনও তেমনি আছে। এই তো সেদিনের কথা ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ সালে কিভাবে খালেদা জিয়া ও তার দল ছাত্রদল সহযোগী জামায়াত-শিবির-আলবদরদের রাজপথে নামিয়ে, পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। রাস্তা কেটে, রাস্তার পাশের গাছ কেটে গোটা দেশে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল যে, মানুষ আতঙ্কে দিন কাটিয়েছে। ২০১৫-এর ৯২ দিন দেশে কোন যানবাহন নিরাপদে চলতে পারেনি। তাদের পেট্রোলবোমা থেকে রেল-লঞ্চ কোন কিছুই রেহাই পায়নি।

ঠিক একইভাবে এই তো সেদিন কোটা সংস্কার আন্দোলন কিংবা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনকালেও একই ধরনের আতঙ্ক ছিল দেশব্যাপী। কোটা আন্দোলনের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা প্রশাসনের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। তবুও ভিসির বাসভবন আক্রান্ত হয়েছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকালে ঊনসত্তরের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ, ইত্তেফাক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, দু’জনই বর্তমান মন্ত্রিসভারও সদস্য, তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে রসিকতা করা হলো। নিরাপদ সড়ক সবাই চাই। দু’জন ছাত্রের মৃত্যু আমাদেরও ব্যথিত করে, আমরাও ছাত্রদের সেন্টিমেন্ট বা দাবির সঙ্গে একমত। ধানম-ি ৩ নং এর আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ও একমত। এর বিরুদ্ধে কেউ নেই, ছিল না। তারপরও কার্যালয় আক্রান্ত হয়েছে। নাগরিকরা মনে করেন ছাত্রছাত্রীরা এর সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নয়। যারা ’৭৫-এ ষড়যন্ত্র করেছে, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছে, যারা জঙ্গীবাদের বিষবৃক্ষ রোপণ করেছে, পানি ঢেলেছে, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে, যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে, সেই ষড়যন্ত্রকারীরা আজও সক্রিয়। শেখ হাসিনা ধৈর্য এবং সাহস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে তাদের মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে ঈর্ষণীয় অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশের স্বাধীনতার মূলধারার প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব তার সঙ্গে কাতারবন্দী হওয়া। আমাদের মনে রাখা দরকার শেখ হাসিনা আপনজনের ১৭টি লাশ বহন করেও ১৭ কোটি মানুষের সেবা করে চলেছেন।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সিনেট সদস্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশঃ দৈনিক জনকণ্ঠ

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত