প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি বিশ্ব ব্যাংক প্রধানের আস্থা জ্ঞাপন

9697

Published on জুলাই 1, 2018
  • Details Image
    রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বিশ্ব ব্যাংক প্রধান জিম ইয়ং কিম (ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর আস্থা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

বাংলাদেশ এবার বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অংকের ঋণ পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতেই প্রমাণ হয় যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা রয়েছে।

আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত কালে বিশ্ব ব্যাংক প্রধান একথা বলেন।

কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্ব ব্যাংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ইহসানুল করিম বলেন,“বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সাক্ষাতকালে বলেছেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বিশ্ব ব্যাংকের বোর্ডে তিনি বাংলাদেশকে কনসেশন রেটে ঋণ দেওয়ার কথা বলবেন।”

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে দুই দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার আগে রোববার তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রশ্নে বাংলাদেশকে জাতিসংঘ এবং বিশ্ব ব্যাংকের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথাও বৈঠকে বলেন গুতেরেস ও কিম।

সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের মতো রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। গতবছর ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে আরও প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা।এখন ১১ লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলে আসছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইহসানুল করিম বলেন, মিয়ানমারের আরাকান থেকে ১৯৭৭ সালে প্রথম রোহিঙ্গাদের পালিয়ে বাংলাদেশে আসার কথা এবং পরে ১৯৮২ ও ১৯৯১ সালের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে তাদের প্রবেশের কথা বৈঠকে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাস্থ্যসহ সকল সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বৈঠকে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, টেকনাফে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় স্থানীয় জনগণেরও অসুবিধা হচ্ছে। উন্নত বাসস্থান সুবিধা দিতে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেন গুতেরেস। শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়েও তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন,“বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা যেন উগ্রপন্থায় জড়িয়ে না পড়ে; এটাই তাদের মূল উদ্বেগের বিষয়।”

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের সহায়তা অব্যাহত রাখায় আন্তোনিও গুতেরেসের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র মানবিক কারণে মিয়ানমারের এই বিপুল সংখ্যক নাগরিককে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত