জাতির উদ্দ্যেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

1619

Published on জানুয়ারি 5, 2015
  • Details Image

<p>জাতির উদ্দ্যেশে ভাষণ</p>
<p>শেখ হাসিনা<br />মাননীয় প্রধানমন্ত্রী<br />গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার</p>
<p>ঢাকা<br />সোমবার<br />২২ পৌষ ১৪২১<br />৫ জানুয়ারি ২০১৫</p>
<p>বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম</p>
<p>প্রিয় দেশবাসী, <br />আসসালামু আলাইকুম। <br />- সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।<br />- আজ ৫ জানুয়ারি। গত বছরের এই দিনে আপনারা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণের দল, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য সরকার গঠনের ম্যান্ডেট দিয়েছিলেন। <br />- আজকের এই দিনে বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। <br />- আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।<br />- স্মরণ করছি ৩ নভেম্বর জেলখানায় নিহত জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে। <br />- শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, স্বজন হারানো পরিবার ও একাত্তরের নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক সমবেদনা।<br />- গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকা-ের শিকার আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, আমার তিন ভাই ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও দশ বছরের শেখ রাসেল, শেখ কামাল ও জামালের নবপরিণীতা স্ত্রী সুলতানা ও রোজী, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র সহোদর শেখ নাসের, কর্ণেল জামিলসহ সেই রাতের সকল শহীদকে। <br />- স্মরণ করছি, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ শহীদ ২২ নেতা-কর্মীকে। <br />- স্মরণ করছি বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় নির্মম হত্যাকা-ের শিকার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজউদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে। <br />- দশম সংসদের যে সকল সংসদ সদস্য ইন্তেকাল করেছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।<br />- বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজির শিকার হয়ে নিরীহ বাসড্রাইভার, বাস-টেম্পো-সিএনজি যাত্রী, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ-বিজিবি-আনসার, সেনাবাহিনীর সদস্য, এমনকি স্কুলের শিশুও নিহত হয়েছে। আহত হয়ে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।<br />- আমি জামাত-বিএনপি জোটের নির্মমতার শিকার হয়ে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। আহতদের জন্য আমার আন্তরিক সহানুভূতি।</p>
<p><br />প্রিয় দেশবাসী,<br />- ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে বিএনপি-জামাত জোট সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। <br />- তারা শত শত গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং ভাংচুর করেছে হাজার হাজার গাড়ি। মহাসড়কসহ গ্রামের রাস্তার দু’পাশের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলেছে। পুলিশ-বিজিবি-আনসার-সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্যকে হত্যা করেছে। <br />- তাদের সহিংস হামলা, পেট্রোল বোমা, অগ্নিসংযোগ ও বোমা হামলায় নিহত হয়েছে শত শত নিরীহ মানুষ। <br />- সরকারি অফিস, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফুটপাতের দোকান এমনকি নিরীহ পশুও তাদের জিঘাংসার হাত থেকে রেহাই পায়নি। <br />- রেহাই পায়নি মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-এর সামনে হাজার হাজার পবিত্র কোরান শরীফ পুড়িয়ে দিয়েছে।<br />- ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলে এবং ফিসপ্লেট খুলে শতশত বগি এবং রেলইঞ্জিন ধ্বংস করেছে। <br />- নির্বাচনের দিন ৫৮২টি স্কুলে আগুন দিয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারসহ ২৬ জনকে হত্যা করেছে। নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী লীগ সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে, আগুন দিয়েছে। <br />- সন্ত্রাস, বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগকে উপেক্ষা করে আপনারা ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন। ভোট দিয়েছেন। গণতন্ত্রের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন। <br />- নির্বাচনের আগে আমরা সংলাপে বসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। সংবিধানের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সব ধরণের ছাড় দিতে চেয়েছিলাম। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রীসভা গঠনের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। <br />- বাংলাদেশের সংবিধানে অনির্বাচিত সরকারের কোন ব্যবস্থা নেই। আমাদের শুধু একটাই দাবী ছিল, সংবিধানের মধ্য থেকে আমরা নির্বাচন করতে চাই। সেখানে যত ধরণের ছাড় দেওয়া সম্ভব, তা দিতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম। <br />- বিএনপি-জামাত জোট চেয়েছিল দেশে একটা অরাজক এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পিছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। <br />- কিন্তু দেশের মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্রের পাতানো ফাঁদে পা দেননি।</p>
<p><br />প্রিয় দেশবাসী, <br />- আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। <br />- আপনাদের সহযোগিতার ফলে উন্নয়নের যে কাজগুলি আমরা শুরু করেছিলাম, তা সমাপ্ত করতে পারছি। পাশাপাশি নতুন নতুন উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। <br />- আগামী দিনেও যে কোন ধরণের নাশকতা এবং জঙ্গিবাদী কর্মকা- সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখবেন, আপনাদের কাছে আমি সেই অনুরোধ করছি। <br />- ০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করেছি। এমন এক অবস্থায় আমরা সরকার গঠন করেছিলাম যখন সমগ্র বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং চরম খাদ্যাভাব চলছে। <br />- ২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি-জামাতের দুঃশাসন. দুর্নীতি, জঙ্গিবাদী কার্যক্রম এবং দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দমননীতির ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম বিপর্যস্ত ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ছিল। <br />- এই পরিস্থিতিতে আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করে সমাজের সকলস্তরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনি। মানুষের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস সঞ্চার করি। নব উদ্যমে দেশ গড়ার কাজে মানুষকে সম্পৃক্ত করি। <br />- সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করি। দীর্ঘ মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করি। <br />- আজ দেশের মানুষ ভাল আছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। <br />- সামগ্রিক উন্নয়ন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত রাখার ক্ষেত্রে ২০১৪ সাল বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল বছর। <br />- অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গত বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যের বছর। <br />- আমাদের গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের ফলে গত মেয়াদের পাঁচ বছর এবং এই মেয়াদের প্রথম বছরে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিশ্বের সামনে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। <br />- বর্তমানে বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া পাঁচটি দেশের একটি- বাংলাদেশ। <br />- আমরা ৬.২ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। <br />- ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। চলতি ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করেছি।<br />- বিএনপি-জামাত জোট আমলের শেষ বছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৯০ মার্কিন ডলারে। <br />- ৫ কোটি মানুষ নিম্ন আয়ের স্তর থেকে মধ্য আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। বিএনপি-জামাতের শেষ বছরে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১.৫ শতাংশ। আমরা তা কমিয়ে ২৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।<br />- ২০০৬ সালে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৪.২ শতাংশ। তা এখন কমে ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।<br />- মানুষের আয় বেড়েছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে আমরা এককোটি মানুষের কর্মসংস্থান করেছি। ২৫ লাখ মানুুষের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে।<br />- ২০০৬ সালে রেমিট্যান্স আয় ছিল মাত্র ৪.৮০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে তা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.২৩ বিলিয়ন ডলারে।<br />- ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার। তা আজ ছয়গুণ বেড়ে ২২.৩৯ বিলিয়ন ডলার।<br />- ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ছিল মাত্র ০.৭৯ বিলিয়ন ডলার যা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৬.৮৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। <br />- ২০০৫-০৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ১০.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৩০.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।<br />- ২০০১ সালে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন রেখে এসেছিলাম ৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। বিএনপি-জামাতের সময়ে তা কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে। <br />- এখন আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৩ হাজার ২৮৩ মেগাওয়াট।<br />- ২০০৬ সালে গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ছিল মাত্র ১৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে গ্যাস উৎপাদন গড়ে দৈনিক ২ হাজার ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।<br />- যোগাযোগ খাতে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ঢাকায় হাতিরঝিল প্রকল্প, কুড়িল-বিশ্বরোড বহুমুখী উড়াল সেতু, মিরপুর-বিমানবন্দর জিল্লুর রহমান উড়াল সেতু, বনানী ওভারপাস, মেয়র হানিফ উড়াল সেতু, টঙ্গীতে আহসানউল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু এবং চট্টগ্রামে বহদ্দারহাট উড়াল সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। <br />- মগবাজার-মালিবাগ উড়ালসেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। <br />- ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। <br />- আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। <br />- সারাদেশে ১৪টি বৃহৎ সেতু, ৪ হাজার ৫০৭টি মাঝারি ও ছোট সেতু, ১৩ হাজার ৭৫১টি কালভার্ট এবং ২১ হাজার কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। <br />- নবীনগর-ডিইপিজেড-চন্দ্রা সড়ক ৪-লেনে উন্নীত করা হয়েছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম এবং জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক ৪-লেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।</p>
<p><br />সচেতন দেশবাসী, <br />- বিএনপি-জামাত জোট আমলে বাংলাদেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ আবারও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।<br />- ২০০৫-০৬ অর্থবছরে খাদ্য-শস্য উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৭৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য-শস্য উৎপাদন হয়েছে।<br />- ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সার, সেচ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি বাবদ প্রায় ৪০ হাজার ২৭৮ কোটি টাকার কৃষিসহায়তা প্রদান করা হয়েছে। <br />- মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ। আমরা এখন চাল রপ্তানিও শুরু করেছি।</p>
<p><br />প্রিয় দেশবাসী,<br />- ২০০১-এ বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এসে শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল। দেশের বর্তমানে শিক্ষার হার ৬৯ শতাংশ। <br />- আওয়ামী লীগ সরকার ৬ বছরে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ১৫৯ কোটি বই বিতরণ করেছে। <br />- এবছরের পহেলা জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৩টি বই বিতরণ করা হয়েছে।<br />- ২০১৫ সাল থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুরাও ব্রেইল পদ্ধতির বই পাচ্ছে।<br />- প্রথম শ্রেণী থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত ১ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপ-বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।<br />- ২৬ হাজার ১৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকুরি জাতীয়করণ করা হয়েছে।<br />- মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারি শিক্ষকদের পদমর্যাদা ৩য় শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা ৩য় শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে। <br />- সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৭২ টি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ২০ হাজার ৫০০টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্কুলে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ চালু করা হবে।<br />- এক হাজার ৪৯৭টি স্কুলে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া, সাউন্ডসিস্টেম ও ইন্টারনেট মডেম সরবরাহ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরও ৩ হাজার ৯৩০টি স্কুলে একই ধরণের উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।<br />- স্বাস্থ্যসেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায়। <br />- ১৬ হাজার ৪৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে ৩০ পদের ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। <br />- ৬ বছরে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।<br />- ২০০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৬.৫ বছর যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ বছর। <br />- দেশের প্রায় সব শিশুকে টিকাদান কর্মসূচী এবং সব মানুষকে নিরাপদ পানি প্রাপ্তি এবং স্যানিটেশনের আওতায় আনা হয়েছে।</p>
<p><br />প্রিয় দেশবাসী,<br />- গত ছয় বছরে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। <br />- ৫ হাজার ২৭৫ টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০০ ধরণের ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই খাতের উদ্যোক্তাদের মাসিক আয় ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা।<br />- বর্তমানে দেশে মোবাইল গ্রাহক ১১ কোটি ৯৭ লাখ। ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ।<br />- ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল “জাতীয় তথ্য বাতায়ন” চালু করেছে সরকার। <br />- আইটি সেক্টরে বিদেশ থেকে ১২৫ মিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে।</p>
<p><br />সম্মানিত দেশবাসী, <br />- আমাদের সরকার নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।<br />- বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে ৬ মাসে বৃদ্ধি করা হয়েছে।<br />- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে এই প্রথম নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। <br />- সরকারি কর্মকাণ্ডের নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার সেনসিটিভ বাজেট তৈরি হচ্ছে। <br />- আজ নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে বাংলাদেশ। <br />- জাতীয় সংসদকে আমরা সকল কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। সংসদীয় কমিটিগুলোর নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। তারা মন্ত্রণালয়ের কাজের তদারকি করছে।<br />- সংসদের স্বচ্ছতা আনার জন্য আমরা সংসদ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। সংসদের কার্যক্রম সরাসরি প্রচারিত হচ্ছে। <br />- গণকর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স ৫৯ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের ৬০ বছর করা হয়েছে। <br />- সামরিক-অসামরিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন আবারও দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হবে। পদমর্যাদা বৃদ্ধি করে ব্যাপকভাবে পদোন্নতির সুযোগ করে দিয়েছি।<br />- জাতির পিতা প্রণীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আর্মড ফোর্সেস গোল- ২০৩০ নির্ধারণ করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।<br />- পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদকে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে এবং ইন্সপেক্টর পদকে দ্বিতীয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে।<br />- পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও সশস্ত্রবাহিনীর ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হয়েছে। <br />- শ্রম আইন ও শ্রমনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন করা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৫ টাকা।<br />- গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে ৫ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে।<br />- বিএনপি-জামাত জোট সরকার পাটকল বন্ধ করেছিল। বিজেএমসির ২৭টি বন্ধ পাটকলের মধ্যে ২৩টি চালু করেছি। আরও ৩টি চালু করা হবে।<br />- ২৭ লাখ ২২ হাজার ৫০০ জন বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও বয়স্ক মানুষ প্রতিমাসে ৪০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।<br />- ৪ লাখ প্রতিবন্ধী প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। <br />- আশ্রয়ণ, একটি বাড়ী একটি খামার, ঘরে ফেরা কার্যক্রম, দুস্থভাতাসহ ১২৮টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্রম থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি সুবিধা পাচ্ছেন। <br />- ১ লাখ ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ৫৫ হাজার একর কৃষি জমি বিতরণ করা হয়েছে।<br />- আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখেরও বেশি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। <br />- বিজিবি’র মাধ্যমে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসযজ্ঞের শিকার যশোর, সাতক্ষীরা, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলার সংখ্যালঘু পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয়, বাড়িঘর ও দোকানপাট পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী দ্বারা রামুর বৌদ্ধবিহার পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। <br />- প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, হিজড়া, দলিত, বেদে ও হরিজন সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা দিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে 'তৃতীয় লিঙ্গ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ।</p>
<p><br />প্রিয় দেশবাসী, <br />- আমরা দায়িত্ব নিয়ে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করি। যারফলে দেশে দুর্নীতি অনেক কমে এসেছে। <br />- বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ ছিল বাক-স্বাধীনতা হরণের দেশ, সাংবাদিক নির্যাতনের দেশ।<br />- ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০০টি মামলা দায়ের এবং ৭৫০টি হুমকি-হামলার ঘটনা ঘটে। অনেক সাংবাদিককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। <br />- বাংলাদেশে মিডিয়া এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।<br />- বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার নতুন ৩২টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে। তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।<br />- ‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা বা অনুদান নীতিমালা, ২০১২-এর আওতায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছি।<br />- জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন। <br />- সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। <br />- বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুইটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাচিত হওয়ায় গণতান্ত্রিক বিশ্বে বাংলাদেশ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের গণতন্ত্রকামী সকল দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও সুসংহত হয়েছে।<br />- গত বছর বাংলাদেশ ওগঝঙ, ওঞট এবং হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে।<br />- ইউনেসকো আমাকে ‘শান্তি বৃক্ষ’ পুরষ্কারে ভূষিত করেছে।<br />- জাতিসংঘ সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন দপ্তর এবং অরগানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস আমাকে ঠরংরড়হধৎু অধিৎফ-২০১৪ প্রদান করেছে।<br />- আমরা এমডিজি ১ থেকে ৪ অর্জন করেছি। <br />- বাংলাদেশ জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবং ওঞট–এর ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। <br />- বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জনের ফলে সমুদ্র সম্পদ আহরণের পথ সুগম হয়েছে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে।<br />- “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়” এই পররাষ্ট্রনীতির আলোকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশ সম্মানজনক অবস্থান করে নিতে পেরেছে।</p>
<p><br />শান্তিপ্রিয় দেশবাসী,<br />- আমাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আবারও অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। <br />- যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারী, রাজাকার-আলবদরদের বিচারের কাজ এগিয়ে চলছে। রায় কার্যকর করা হচ্ছে।। ইনশাআল্লাহ আমরা সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করব। <br />- এই বিচার বানচাল করতে, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে অন্ধকারের অপশক্তি যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, জনগণের মঙ্গল চায় না তারা আবারও ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছে।<br />- বিএনপি’র নির্বাচনে অংশ না নেওয়াটা ছিল একটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত। তাদের এই রাজনৈতিক ভুলের খেসারত কেন জনগণকে দিতে হবে?<br />- বিএনপি নেত্রীকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি- নাশকতা, মানুষ হত্যা, বোমা-গ্রেনেড হামলা, অগ্নিসংযোগ, জানমালের ক্ষতি করা বন্ধ করুন।<br />- আপনার ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে আজ আপনি ও আপনার দল সংসদে নেই। আপনি কাকে দোষ দেবেন? আপনার নিজেকেই দোষ দিতে হবে।<br />- নাশকতার পথ পরিহার করে শান্তির পথে আসুন। দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কী কী করতে চান তা মানুষকে জানান। নিজের দলকে গড়ে তুলুন। তাহলেই হয়ত ভবিষ্যতে সম্ভাবনা থাকবে।<br />- যে পথে আপনি চলছেন তা জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা আরও হারাবেন।<br />- মানুষ নিরাপত্তা চায়, শান্তি চায়, উন্নতি চায়।<br />- আমরা অসুস্থ রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। যে রাজনীতি দেশের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য সেই রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।</p>
<p><br />প্রিয় দেশবাসী,<br />- ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করব। ইনশাআল্লাহ তার পূর্বেই আমরা সেটা করতে পারব।<br />- ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা এ লক্ষ্যপূরণে সফল হব। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। <br />- বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।<br />- সবাইকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ। খোদা হাফেজ। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।<br />...</p>

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত